ছাগলকাণ্ড: মতিউরকে জেলগেটে ৩ দিন জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

প্রকাশিত: ৩:২৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২৫


নিজেস্ব প্রতিবেদক:

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত-সমালোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তাকে তিনদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা তাকে এ জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ১৪ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে স্ত্রীসহ ডিবির হাতে গ্রেপ্তার হন মতিউর।

এর আগে গত ৬ জানুয়ারি মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা করে দুদক। এর মধ্যে একটি মামলায় গত ২১ জানুয়ারি মতিউরের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

দুদকের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭ (১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনায় আসেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। বলা হয়, তার বাবা এনবিআর সদস্য এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমান।

এরপর আলোচনা চলে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের কোথায় কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে এসব নিয়ে। এসব আলোচনার মধ্যে একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে মতিউর পরিবারের বিপুল বিত্তবৈভবের চাঞ্চল্যকর তথ্য।

পরে গত বছরের ৪ জুন মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধানের নামে দুদক। অনুসন্ধানে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৬৫ বিঘা জমি, আটটি ফ্ল্যাট, দুটি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট এবং তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পায় দুদক। মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবার হিসাব ও শেয়ারবাজারের বিও হিসাব জব্দ করা হয়।

পরে ওই বছরের ২৩ জুন মতিউরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। ২৪ জুন মতিউর ও তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং সন্তানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। ২৫ জুন মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, মুঠোফোনে আর্থিক সেবার (এমএফএস) হিসাব ও শেয়ারবাজারের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয় বিএফআইইউ।

একপর্যায়ে মতিউরকে এনবিআর থেকে সরিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে যুক্ত করা হয়। সরিয়ে দেওয়া হয় রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে সরকার মনোনীত পরিচালক পদ থেকেও।