ছাত্র-জনতার দখলে রাজধানী, গুরুত্বপূর্ণ সব সড়ক বন্ধ

প্রকাশিত: ৬:৩০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২৪

ঢাকা প্রতিনিধি:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়েছেন শিক্ষার্থীসহ লাখো বিক্ষোভকারী। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সেখানে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজারো মানুষ জড়ো হয়েছেন।
কর্মসূচিতে যোগ দিতে দলে দলে শিক্ষার্থীরা এসে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিচ্ছেন। এতে করে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্ট নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যানচলাচল।
যাত্রাবাড়ী, শান্তিনগর, সাইন্সল্যাব, রামপুরা, মেরুল বাড্ডা, নতুন বাজার, কুড়িল বিশ্বরোড, মিরপুর-১০ ও উত্তরায় অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
বেলা সোয়া ১টার দিকে রাজধানীর প্রগতি সরণি ও যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এলে বন্ধ হয়ে যায় প্রগতি সরণির যান চলাচল।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে ইস্ট ওয়েস্ট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন আশপাশের বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীরা।
দুপুর ১২টা থেকে সায়েন্সল্যাব মোড়ে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা। এ বিক্ষোভে নেমে আসে সাধারণ জনতার ঢল। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আন্দোলনে সংহতি জানায় পথচারী, রিকশাচালক থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ আন্দোলন ঘিরে সায়েন্সল্যাব এলাকার পুরো সড়ক দখলে চলে যায় আন্দোলনকারীদের।

গাজীপুরের শ্রীপুরে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে। উত্তেজিত ছাত্ররা পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দেয়। একই সঙ্গে আগুন দেয়া হয় পুলিশের ১টি গাড়িতে। এ ঘটনায় ঢাকা-গাজীপুর রোডেও যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
রাজধানীর প্রগতি সরণি, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা গেট এলাকায় পুলিশকে দেখা গেছে সতর্ক অবস্থায়।

বসুন্ধরা গেট এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সদস্যরা এখানে অবস্থান নিয়েছেন। আমাদের বেশ কয়েকটি টিম এখানে কাজ করছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি।