ছয় মাসে ভ্যাকসিনের আওতায় জনসংখ্যার আড়াই শতাংশ মানুষ

প্রকাশিত: ১:৫৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২১

দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যাপকভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় চলতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারি। এরপর থেকে ছয় মাসেরও কিছু বেশি সময়ে এখন পর্যন্ত টিকা দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ ৬৬ হাজার ৩৩৭ ডোজ। এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ডের-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড, চীনের তৈরি সিনোফার্ম, ফাইজার এবং মডার্নার ভ্যাকসিন। এর মধ্যে এক ডোজ নিয়েছেন ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ৩৭২ জন এবং টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন ৪৩ লাখ ৫ হাজার ৯৬৫ জন। প্রতিটি টিকাই দুই ডোজ গ্রহণ করতে হয় অর্থাৎ দেশের ৪৩ লাখ মানুষ টিকার দুই ডোজ সম্পন্ন করেছেন, যা মোট জনসংখ্যার আড়াই শতাংশ।

জনসংখ্যার বিপরীতে টিকার পরিসংখ্যান
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২০’ এর হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯১ লাখ। সুতরাং মোট জনসংখ্যার আড়াই শতাংশ মানুষ ছয় মাসে টিকার দুই ডোজ পূর্ণ করেছেন। আর মোট জনসংখ্যার ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজের আওতায় এসেছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে জনসংখ্যার ৭ দশমিক ০১ শতাংশকে টিকার আওতায় আনা গেছে ছয় মাসের বেশি কিছু সময়ে। দেশের ৮০ শতাংশ জনসংখ্যাকে টিকার আওতায় আনতে চায় সরকার। সেই হিসাবে ১৩ কোটি ৫২ লাখ ৮ হাজার মানুষকে টিকা দিতে হবে।

দেশে টিকা এসেছে ২ কোটি ১১ লাখ ৪৫ হাজার ডোজ
দেশের মাটিতে গত ২১ জানুয়ারি প্রথম আসে ভারত সরকারের উপহারের ২০ লাখ ডোজ টিকা। এই টিকাগুলো ছিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড। তার ঠিক চারদিন পর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তির প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড। এই ৭০ লাখ ডোজ হাতে রেখেই দেশে শুরু হয় গণটিকা কার্যক্রম। এরপর উপহার আর কেনা টিকার চালান মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড দেশে এসেছে। ২৬ মার্চের পর টিকার আর কোনও চালান ভারত থেকে আসেনি। ভারতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং নিজ দেশের নাগরিকদের টিকা নিশ্চিতে সেরাম ইনস্টিটিউট রফতানি বন্ধ করে দেয়।

এরপর দেশে চীনের তৈরি সিনোফার্মের ভ্যাকসিন ৫ লাখ ডোজ দেশটির সরকার উপহার হিসেবে পাঠায় গত ১২ মে। এখন পর্যন্ত উপহার এবং কেনা টিকাসহ মোট ৫১ লাখ ডোজ এসেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার উপহার হিসেবে কোভ্যাক্সের আওতায় এখন পর্যন্ত মডার্নার ৫৫ লাখ ডোজ টিকা পাঠিয়েছে। এর আগে ১ লাখ ৬২০ ডোজ ফাইজারের টিকা কোভ্যাক্সের আওতায় পাঠানো হয়। এরপর জাপান থেকে ২৪ জুলাই আসে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২ লাখ ৪৫ হাজার ডোজ।

অর্থাৎ সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৬২০ ডোজ দেশে এসেছে।

কোন টিকা কতটুকু দেওয়া হয়েছে
দেশে এখন পর্যন্ত চার ধরনের টিকার দুই ডোজ মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ ৬৬ হাজার ৩৩৭ ডোজ। এর মধ্যে এক ডোজ নিয়েছেন ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ৩৭২ জন এবং টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন ৪৩ লাখ ৫ হাজার ৯৬৫ জন।

টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে কোভিশিল্ড নিয়েছেন ১ কোটি ১ লাখ ১৮ হাজার ১১৯ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ৩৩ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪২ লাখ ৯৮ হাজার ৮৬ জন। তাই এই মুহূর্তে কোভিশিল্ড টিকা অবশিষ্ট আছে ৮১ হাজার ৮৮১ ডোজ। ভারত থেকে কোভিশিল্ড আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে শংকায় পড়তে হয়। কিন্তু জাপান থেকে আড়াই লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসায় তা কিছুটা কমে সাড়ে ১২ লাখের মতো মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে সংশয়ে থেকে যায়। এদের সবাইকেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকারই দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। কেননা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও দুই কোম্পানির দুই ডোজের টিকা গ্রহণের কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি।

সিনোফার্ম দেওয়া হয়েছে ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮০৩ ডোজ, ফাইজার দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার ৫১১ ডোজ এবং মডার্না দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৪ ডোজ।

দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান কোন টিকার জন্য কতদিন
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) পাঠানো সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দুই ডোজের ব্যবধান ১২ সপ্তাহ নির্ধারণ করা হয়েছে। তাছাড়া সিনোফার্ম, ফাইজার এবং মডার্নার ক্ষেত্রে নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ দিন বা চার সপ্তাহ।

টিকার ব্যবস্থা হয়েছে ২১ কোটি
দেশের ৮০ শতাংশ জনসংখ্যাকে টিকার আওতায় আনতে চায় সরকার। সেই হিসাবে ১৩ কোটি ৫২ লাখ ৮ হাজার মানুষকে টিকা দিতে হবে। সেজন্য দুই ডোজের টিকার ক্ষেত্রে প্রয়োজন ২৭ কোটি ৪ লাখ ১ হাজার ৬০০ ডোজ। তবে এক ডোজ টিকার ক্ষেত্রে কিছু কম প্রয়োজন হবে। সরকার জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের টিকা ৭ কোটি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেক্ষেত্রে মোট টিকার প্রয়োজন হতে পারে ২০ কোটি ৪ লাখ ১ হাজার ৬০০ ডোজ।

২১ কোটি টিকার মধ্যে রাশিয়ার ১ কোটি ডোজ স্পুটনিক ভি, চীনের সিনোফার্মের ৩ কোটি ডোজ, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি, কোভ্যাক্সের আওতায় ৭ কোটি ও জনসন অ্যান্ড জনসনের ৭ কোটি ডোজ টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ২৬ বা ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে আরও ৩০ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা দেশে আসবে। টিকা সংরক্ষণে ২৬টি কোল্ড ফ্রিজার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আনা হয়েছে। এগুলোয় মাইনাস ৭০ ডিগ্রিতে রাখার মতো টিকাও সংরক্ষণ করা যাবে। বিভিন্ন দেশ থেকে নতুন করে আরও যে টিকা আসবে, সেগুলো সংরক্ষণ করতে কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে কোভিশিল্ডের ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য গত বছরের শেষ দিকে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। সেই টিকার প্রথম চালান পাওয়ার পরই গণটিকা দান শুরু হয়। কিন্তু দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ পাঠানোর পর ভারত রফতানি বন্ধ করে দিলে সংকটে পড়ে বাংলাদেশ। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যায়নি। যার ফলে টিকাদান কর্মসূচি গতি হারায়। এমন পরিস্থিতিতে সরকার চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়। পাশাপাশি সম্ভাব্য সব উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করা হয়।

মাসে এক কোটি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, আমরা যাচাই করেছি আগামী দিনগুলোতে কোন দেশ থেকে কতো ভ্যাকসিন পাবো। সব মিলিয়ে আমাদের হিসাবে ২১ কোটির মতো ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা আছে। এই ২১ কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া, সংরক্ষণ করা এবং এজন্য প্রয়োজনীয় জনবলের যে ব্যবস্থা সে বিষয়েও পরিকল্পনা আমরা করেছি। আমাদের সক্ষমতা ৮ কোটি ভ্যাকসিন সংরক্ষণের। আর তাপমাত্রা সেনসিটিভ ভ্যাকসিনও প্রায় ৩০ লাখ সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে। আরও কিছু ফ্রিজের অর্ডার করা হয়েছে। সেগুলো আসলে সব মিলিয়ে কোটির কাছে চলে যাবে এই তাপমাত্রা সেনসিটিভ ভ্যাকসিন সংরক্ষণের ব্যবস্থা। আমাদের প্ল্যান হচ্ছে প্রত্যেক মাসে এক কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া।

লক্ষ্য পূরণে লাগবে ২ বছরের বেশি সময়
মাসে এক কোটি টিকা প্রয়োগ করলেও ৮০ শতাংশ জনসংখ্যা ভ্যাকসিনের আওতায় আনার সরকারের লক্ষ্য পূরণ করতে লাগবে দুই বছরের বেশি সময়। এক্ষেত্রে কমাতে হবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের দুই ডোজের ব্যবধান। ৩ মাস ব্যবধান থাকলে লক্ষ্য পূরণের এই সময় লাগবে আরও বেশি।

সাধারণ হিসাবেই ১২ কোটি মানুষ টিকার বাইরে আছে বর্তমানে। তাদের এক ডোজ প্রদানে সময় চলে যাবে ১ বছর, যদি মাসে ১ কোটি টিকা দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ডোজের জন্য চলে যাবে আরও ১২ মাস যদি ডোজের ব্যবধান হয় ১ মাস। আর যদি টিকা সরবরাহে দেরি হয় তাতেও সময় আরও বেশি প্রয়োজন হবে।

বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আসার গতি নিয়ে বেশকয়েকদিন আগে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহের গতিতে ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বলেছে, টিকা আসার যে গতি তাতে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষকে টিকা দিতে ২০২৪ সাল লেগে যেতে পারে।

টিকা আসার গতির উপর নির্ভর করছে কত দ্রুত বেশি সংখ্যাক মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা যায়- এমনটা মনে করছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা। টিকা আসতে দেরি হলে সময় আরও বেশি লেগে যাবে বলে ধারণা তাদের। তবে তারা আশাবাদী প্রতিশ্রুতির টিকা সময়মতো বাংলাদেশ পাবে।

টিকার সমস্যা কেটে গেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশের টিকার সমস্যা আল্লাহর রহমতে কেটে গেছে। আগামী আগস্ট মাসে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ফাইজার-বায়োএনটেকের আরও ৬০ লাখ ডোজ টিকা আসছে। সব মিলিয়ে আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে দেড় থেকে পৌনে ২ কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশের হাতে আসবে; যার মধ্যে মডার্না এবং সিনোফার্মের টিকা এরই মধ্যে দুদফায় দেশে চলেও এসেছে।

সেই সঙ্গে টিকাদানের সময়ও কমিয়ে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, মাসে এক কোটি করে ভ্যাকসিন দিলেও ২১ মাস সময় লাগবে ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে। আমরা এত সময় নিবো না। আরও সময় আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করবো।

করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, টিকার গতি কিছুটা বাড়ালে ভালো হতো। টিকা নিয়ে তো অনেক কিছু হলো। এখন টিকা এসে গেছে, এখন একটু গতি বাড়বে। এতদিন তো টিকা প্রাপ্তি অনিশ্চিত ছিল। এখন পর্যন্ত ২ কোটির বেশি কিছু টিকা এসেছে। টিকা প্রয়োজন আরও। মাসে মাসে টিকা ব্যবস্থা করছে সরকার। প্রথম দিকে কিছু জটিলতা ছিল সেগুলো কাটিয়ে উঠেছে।

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সারা পৃথিবীতেই টিকার সংকট। সেই কথা চিন্তা করলে আমাদের সরকার যে খারাপ কাজ করছে তাও বলা যাবে না। আমরা যতই সমালোচনা করি অন্য দেশের দিকে তাকালে দেখা যাবে অন্যরা তেমন টিকা পায়নি। এখানে আমরা দোষারোপ করতে চাই না। টিকা যখন আমরা তৈরি করতে পারিনি তখন অন্যদের উপরই নির্ভর করতে হবে।

দেশেই টিকা তৈরি করতে পারলে সুবিধা হতো উল্লেখ করে ডা. নজরুল বলেন, টিকা তৈরি করতে গেলে চাইনিজ ম্যাথডে তৈরি করা যায়। কিন্তু এখন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়েই গণ্ডগোল। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রতিরোধ করতে পারে এমন টিকাই আমাদের তৈরি করতে হবে। আমাদের এখন একমাত্র স্ট্র্যাটেজি হওয়া উচিৎ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিপরীতে টিকা তৈরি করা এবং সেটা প্রয়োগ করা। আমাদের উচিৎ ‘হোল ভাইরাস’ ভ্যাকসিনের পথে হাঁটা। সেটা করতে বেশি সময় লাগে না।