মোঃ সাইফুল ইসলামঃ
মানবাধিকার সমুন্নত রেখে জনগণকে নিরপেক্ষভাবে সেবা প্রদানের জন্য নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব ইন্টেগ্রিটিতে ৪১তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) প্রবেশনারদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে কর্মরত অতিরিক্ত আইজিপিসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।আইজিপি বলেন, পুলিশিং একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। আগামী দিনের পুলিশিং হবে জ্ঞান ও বিজ্ঞানভিত্তিক মানবিক পুলিশিং। এ পেশায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা, রাজশাহীতে বছরব্যাপী প্রশিক্ষণে আপনারা অপরাধ মোকাবিলার আধুনিক কলাকৌশল, অপরাধ দমনে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জন করবেন। উন্নত-সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য কঠোর অধ্যবসায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আপনাদের গভীরভাবে প্রশিক্ষণে মনোনিবেশ করতে হবে।পুলিশ প্রধান বলেন, বর্তমানে অপরাধের ধরন ও প্রকৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আপনারা অপরাধ উদঘাটন এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণে সচেষ্ট থাকবেন।
আইজিপি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে নিরাপদ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে নতুন নতুন ইউনিট গঠন করা হয়েছে, পুলিশের জনবল বাড়ানো হয়েছে, পুলিশের প্রশিক্ষণ আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে।উল্লেখ্য, ৪১তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচে ১০০ জন কর্মকর্তা এএসপি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেছেন। এদের মধ্যে ৯৬ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী।