জাহাঙ্গীর আলম মিয়া:
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, সাধারণ মানুষের কাছে ন্যূনতম চাহিদা থাকার কারণে আওয়ামী লীগসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের সঙ্গে থাকতে চায়। জনগণের কাছে জাতীয় পার্টির ডিমান্ড আছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অতীতেও দেখা গেছে, সংসদ নির্বাচন এলেই বড় রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতায় আসতে চায়। এর কারণ জানতে চাইলে জাপা মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, নিশ্চয়ই জনগণের কাছে জাতীয় পার্টির ন্যূনতম চাহিদা আছে, ডিমান্ড আছে। যার ফলে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে কথাবার্তা বলেন।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, অবশ্যই আমাদের রাজনৈতিক ভিত্তি আছে, আমাদের আদর্শ আছে। আমাদের নেতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ৯ বছর দেশকে সুশাসন দিয়েছিলেন।
জাতীয় পার্টি ‘সাবালক’ হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এবার ক্ষমতাসীন দলের চেয়ে বেশি আসনে প্রার্থী দিয়েছি। বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আওয়ামী লীগ কিছু আসনে কেন ছাড় দিয়েছে, এ প্রশ্নের উত্তর তারা দেবে। কিন্তু আমরা কোনো আসনে ছাড় দেইনি। আমরা প্রতিটি আসনে ভোট করতে চাই, করে যাচ্ছি।
সংসদে বিরোধীদল হিসেবে জাতীয় পার্টি সরকারের সমালোচনায় সরব ছিল জানিয়ে জাপা মহাসচিব বলেন, সরকারের দুর্নীতি ও দুর্বলতা সংসদে তুলে ধরি নাই, এই অপবাদ নিশ্চয়ই আপনারা দিতে পারবেন না। মাঠে আমরা সংগঠন করবার জন্য কাজ করেছি। কিন্তু রাস্তাঘাট বন্ধ করে সভা-সমাবেশ বা হরতাল করি নাই। আমরা হরতালের পক্ষে না। যদিও আমি নিজে নবম সংসদে হরতালের বিপক্ষে বিল এনেছিলাম।
এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। ‘শান্তির জন্য পরিবর্তন, পরিবর্তনের জন্য জাতীয় পার্টি’ এ স্লোগান সামনে রেখে দলটির ইশতেহারে ২৪টি প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হয়েছে।
এদিন দুপুর ১২টায় জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে মুজিবুল হক চুন্নু এ ইশতেহার ঘোষণা করেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর এটিই জাপার প্রথম সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার।
ঘোষিত ইশতেহারে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন, দুর্নীতি ও অর্থপাচার রোধ, দেশের চলমান বাস্তবতায় কর্মসংস্থান, বিকেন্দ্রীকরণ, বিচারব্যবস্থা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের ঘোষণাসমূহ উঠে এসেছে।