সাজ্জাদ হোসেনঃ
তীব্র দাবদাহে গত এক সপ্তাহ অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। এতে করে বন্ধ থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন। তাই খাদ্য সংকটে থাকা ক্যাম্পাসে থাকা কুকুর-বিড়ালের জন্য প্রতিদিন খাবারের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। এর আগে, ঈদের ছুটিতেও কুকুর ও বিড়ালের জন্য প্রতিদিন খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিষয়টি জানিয়েছেন জবির নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তা ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. শাহাদাৎ হোসেন তুষার।তিনি বলেন, সম্প্রতি রোজার ঈদের ছুটিতে জবির ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে যায়। ক্যান্টিনের উচ্ছিষ্ট খাবার কুকুর-বিড়াল খেত। তাই ছুটির সময় কুকুর-বিড়ালের জন্য জবি ভিসি প্রতিদিন খাবারের ব্যবস্থা করতে বলেছিলেন। তাই আমরা সে সময় প্রতিদিন কুকুরের জন্য খাবার দিয়েছি। তীব্র তাপমাত্রার কারণে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্তে এখন আবার ক্যান্টিন বন্ধ থাকবে। তাই জবি ভিসি পুনরায় ক্যাস্পাসের কুকুর ও বিড়ালের জন্য খাবার দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নিরাপত্তাকর্মী নুর ইসলাস প্রতিদিন এ খাবার কেনেন। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে ২৫-৩০টির মতো কুকুর আছে। ওদের জন্য প্রতিদিন মুরগির গিলা, কলিজা, পা ও চামড়া কেনা হয়। ওরা ভাত খেতে চায় না। ওগুলোই খায়। প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে খাবার কিনে আনি। ১৫০-২০০ টাকার খাবার কেনা হয় প্রতিদিন। আমি খাবার নিয়ে এলেই পেছনে পেছনে সব কুকুর চলে আসে। ওদের জন্য কয়েকটি স্থানে পানির ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, তীব্র দাবদাহে জবিতে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্যাম্পাসে থাকা কুকুর-বিড়ালগুলো খাবার পায় না। তাই তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে বলেছি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মতো ওই প্রাণীদেরও ক্যাম্পাস এটি।