জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যার মাস পেরোলেও শেষ হয়নি তদন্ত

প্রকাশিত: ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০২৪

সাজ্জাদ হোসেনঃ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদা অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি এক মাসেও তদন্ত কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি। তদন্ত কমিটির দাবি, অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। যেন ঘটনার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ জড়িত থাকলে বা কারো গাফিলতি থাকলে সে বিষয়ে পুরোপুরি বস্তুনিষ্ঠ একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হয়। ঈদের ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং কিছু এভিডেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে বলে সময় লাগছে বলেও দাবি কমিটির সদস্যদের।

জানা যায়, গত ১৫ মার্চ রাতে কুমিল্লার বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন বাসায় আত্মহত্যা করেন জবি ছাত্রী অবন্তিকা। তার আগে নিজের ফেসবুক একাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে আত্মহত্যার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকি আম্মানকে দায়ী করেন। মুহূর্তেই সেই ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়।

অবন্তিকার মৃত্যুর পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস জুড়ে ঘটনার পেছনে জড়িতদের অতি দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। তাত্ক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বীন ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত এবং আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। ঘটনার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ জড়িত আছে কিনা সেটি তদন্তে পরদিন (১৬ মার্চ) পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষার্থী বলেন, আগে অনেক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তবে সেগুলো আর আলোর মুখ দেখেনি। অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি একই রাস্তায় না হেঁটে দ্রুততম সময়ে প্রকৃত তথ্য উপস্থাপন করুক আমরা সেটাই চাই।

তদন্ত কমিটির সদস্য ও জবির আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এস মাসুম বিল্লাহ বলেন, বিষয়টিতে জটিল রসায়ন জড়িত। তাড়াহুড়ো করলে বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হবে না। আমরা ইতিমধ্যেই কুমিল্লা গিয়েছি কয়েক দিন, জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পর্যায়ের অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াটি মোটামুটি গুছিয়ে এনেছি। আমাদের প্রতিবেদন লেখা চলমান আছে। তিনি আরও বলেন, কারো কোনো দায় রয়েছে কিনা সেটি আমরা ভালোভাবে খতিয়ে দেখছি।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, পুলিশের কাছে কিছু তথ্য চেয়েছি, তারা সেগুলো দিবে বলেছেন। সেই তথ্য কবে নাগাদ পাবো তার উপর এখন নির্ভর করছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়। তথ্যগুলো না পেলে সঠিক কারণ উদঘাটন অনেকটা কঠিন হয়ে পড়তে পারে।