জলবায়ু অভিযোজন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘ ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল

প্রকাশিত: ১১:৩৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

স্থিতিস্থাপকতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে স্থানীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বাংলাদেশ সরকারের সাথে জাতিসংঘের কাজ প্রত্যক্ষ করতে সংস্থাটির ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এবং টেকসই উন্নয়ন গ্রুপের চেয়ার আমিনা জে মোহাম্মদ আনুষ্ঠানিকভাবে গতকাল বাগেরহাট জেলার মংলা সফর করেছেন।
সফরকালে তিনি জলবায়ু অর্থায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয় ইউনিয়য়ন, সুইডেন সরকার, ইউএনডিপি এবং ইউএনসিডিএফ দ্বারা ২০১৬ সালে তৈরি করা ‘ক্লাইমেট চেঞ্জে স্থানীয় সরকার উদ্যোগ’ (এলওজিআইসি) প্রকল্প প্রত্যক্ষ করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবার ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এবং তাদের স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করতে ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজনে স্থানীয় পদক্ষেপ নিতে সক্ষম করে তোলে।
ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল আমিনা মোহাম্মদ তার সফরকালে কমিউনিটির নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন উদ্যোগের সাথে প্রথম প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
তিনি এলওজিআইসি প্রকল্প থেকে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা পেয়ে উপকৃত হওয়া স্থানীয় জনগণের সাথেকথা বলেন। জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা তহবিল (সিআরএফ) এবং সক্ষমতা-নির্মাণ উদ্যোগের মাধ্যমে, স্থানীয় জনগণ লোনা জলের মাছের পলি-কালচার, সবজি চাষ, ভেড়া এবং হাঁস পালনের মতো অভিযোজিত ব্যবস্থায় জীবন যাপন করছেন।
ইউএনডিপির একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ ছাড়াও তারা কাছাকাছি একটি স্কুলে স্থাপিত একটি কমিউনিটি রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং সিস্টেমের মাধ্যমে নিরাপদ এবং বিশুদ্ধ পানীয় জলের সুবিধা পাওয়া প্রকল্প প্রত্যক্ষ করেন। যার মাধ্যমে প্রায় ২০০ পরিবার উপকৃত হচ্ছে।
আমিনা মোহাম্মদ জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে স্থানীয় নেতৃত্ব, উদ্ভাবন এবং প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি এই ধরনের উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য জাতিসংঘের প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট জরুরি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস, বাংলাদেশে ইউএনডিপি আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, সরকার ও জাতিসংঘের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।