ফাইল ছবি
মোহাম্মদ হোসেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। কামরাঙ্গীরচরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এই ওয়ার্ডের অবস্থান। পর পর দুইবারের এই কাউন্সিলরের কথাই সেখানে আইন। দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তার ক্যাডার বাহিনীর হামলা-নির্যাতনের শিকার হয়ে এলাকাছাড়া হওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
তার নানা অপকর্মের কাছে জিম্মি স্থানীয়রা। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরাও হোসেন ও তার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। অদৃশ্য ক্ষমতা পেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আঁকড়ে রেখেছেন এলাকার আধিপত্য। ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে আছে কামরাঙ্গীরচরের পূর্ব-রসূলপুর, পশ্চিম রসূলপুর, দক্ষিণ রসূলপুর, বড়গ্রাম পশ্চিমাংশ, বড়গ্রাম, ইসলাম নগর, আলী নগর, পশ্চিম আশরাফবাদ, হুজুরপাড়া এলাকা। এই ওয়ার্ডে অবস্থিত নদীর ঘাট দখল, চাঁদাবাজি, জোর করে সাধারণ মানুষের জায়গা দখল, হামলা, ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ গ্যাস সংযোগ, যানবাহন থেকে মাসিক হারে চাঁদা আদায়সহ নানা অভিযোগ কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে।
যদিও তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাই এসব অভিযোগ তুলছে।
৫৬ নম্বর ওয়ার্ডটির বুক জুড়েই রয়েছে আদি বুড়িগঙ্গা। সেটি এখন মৃত প্রায়। চারদিকে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। দুর্গন্ধ-ধুলোবালিতে বেহাল দশা। উন্মুক্ত ড্রেনের পানিতে মশার উৎপাত।
স্থায়ীরা জানান, থানা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোহাম্মদ হোসেন কাউন্সিলর হওয়ার পরপরই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তার ক্যাডারদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক পারভেজ হোসেন বিপ্লব। যিনি ইয়াবা বিপ্লব নামে এলাকায় পরিচিত। যেখানেই ডাক পড়ে সেখানেই শতাধিক ক্যাডার নিয়ে হাজির হন এই বিপ্লব। তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এলাকার টেম্পো ও অটোস্ট্যান্ড। আশরাফবাদ খালপাড়, আলীনগর, টেকেরহাটি, রসূলপুরসহ প্রতিটি অটোস্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ করে বিপ্লব ও তার লোকজন। এলাকার সাধারণ মানুষ ছাড়াও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা হোসেন এবং তার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাননি। হুমকি-ধমকি, হামলা-মামলায় ফাঁসিয়ে দেন। তার ক্যাডার বাহিনীর কেউ কেউ রয়েছে মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকায়ও উঠে এসেছে তাদের নাম। হোসেনের নামেও হয়েছিল চাঁদাবাজির মামলা।
সূত্র জানায়, দূরপাল্লার যানবাহন থেকে, কবরস্থান, অটোস্ট্যান্ড, আলীনগর বাজার অটোস্ট্যান্ড, খোলামোড়াঘাট অটোস্ট্যান্ড-টেম্পোস্ট্যান্ড, সিএনজিস্ট্যান্ড চলে তার নিয়ন্ত্রণে। তবে এসব সেক্টর থেকে চাঁদা আদায় করে কখনো কোনো প্রমাণ রাখেন না তিনি। বিভিন্ন সেক্টরে সেট করে রেখেছেন তার ক্যাডার বাহিনী। বেড়িবাঁধ বাজার থেকে দোকান প্রতি ১০০ টাকা আদায় করা হয়। সেখানে মোট ৪০-৫০টি দোকান রয়েছে। এদিকে আলীনগর বাজারে ৬০টি দোকান রয়েছে। সেখানে এক একটি দোকান থেকে প্রতিমাসে ১ হাজার ৮০০ টাকা করে টাকা চাঁদা তোলা হয়। একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ রয়েছে, ব্যাটারিঘাটে ময়লার স্ট্যান্ডের সঙ্গে ট্রাক ও ময়লার গাড়ি থেকে মাসে ৭০-৮০ হাজার টাকা আদায় করেন কাউন্সিলরের লোকজন। এখানে পাঁচ থেকে ছয়জন নেতার মাধ্যমে ৮ থেকে ১০টি গ্যাং চলে। এক একটি দলে ৩০ থেকে ৪০ জন সদস্য রয়েছে।
মোহাম্মদ শাহ আলম নামে এক ব্যবসায়ীর জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে। এক রাতের মধ্যে তার বাহিনী দিয়ে হামলা-ভাঙচুর করে ওই জমি দখলে নেন কাউন্সিলর। সেখানে এখন ঈদগাহ্ মাঠ বানিয়েছেন। এই মাঠে সপ্তাহে একদিন মেলার আয়োজন করে এবং দোকান থেকে বড় অঙ্কের অর্থ আদায় করেন তিনি। শুধু তাই নয়, ভাসমান দোকান বসলেও সেখান থেকে চাঁদা আদায় করে তার লোকজন।
খরিদসূত্রে মোহাম্মদ শাহ আলমের মালিকানাধীন সম্পত্তির দাগ নম্বর-সিএস- ৯৩৪, এসএ-১১৬০, আরএস-২৯, ৬৪, সিটি-১২৫৭৪। মোট ১ একর ৫৮ শতাংশ জায়গা। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৬০-৬৫ কোটি টাকা। এই জমি দখল ও ভাঙচুরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সেই সময়ের বেশকিছু ছবিও এসেছে এই প্রতিবেদকের হাতে। জানা যায়, বিদেশ ফেরত এই ব্যবসায়ীর ক্রয়কৃত মালিকানাধীন জায়গা ছিল এটি। সেখানে কল-কারখানা ছিল। ২০০২ সালে তিনি জায়গাটি ক্রয় করেছিলেন। ২০১৫ সালে একরাতে কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন তার লোকজন দিয়ে ভেঙে দেন সেখানকার কলকারখানা। পরিবারসহ ওই ব্যবসায়ী থাকতেন এলাকায়। এই ঘটনার পর থেকে তিনি এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। বর্তমানে সেখানে প্রাণনাশের ভয়ে ঢুকতে পারেন না। এই ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনও করেছিলেন তিনি। ঘটনার পর তার নামে মামলাও দায়ের করেছেন কাউন্সিলর। যেন এলাকায় প্রবেশ করতে এবং তার জায়গা নিয়ে মুখ খুলতে না পারেন। স্থানীয়রা জানান, পুরো পরিবারটি এখন অসহায় জীবন-যাপন করছে। এই রকম অসংখ্য পরিবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আতঙ্কে জীবন-যাপন করছে। অনেকে আবার এলাকাও ছেড়েছেন।
হোসেনের ছত্রছায়ায় কিশোর গ্যাং: রাজধানীর অন্য এলাকার মতো উঠতি বয়সী ছেলেদের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ এই চরের মানুষ। চুলের কাটিং আর বেপোরোয়া চালচলনে মোড়ে মোড়ে অবস্থান করে তারা। এক-একটি কিশোর গ্যাং একেক মহল্লায় আধিপত্য বিস্তার করে। একটি গ্যাংয়ের সদস্য ৩০-৪০ জন। এদের নেতৃত্বে থাকে একজন। তুচ্ছ কারণে এদের মধ্যে শুরু হয় সংঘাত। এমনকি খুনের মতো ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থাকা নেতারাই এই কিশোর গ্যাংয়ের আশ্রয়দাতা। এদের ব্যবহার করে এলাকায় তা-ব চালান তারা। এই ওয়ার্ডে এই রকম ৮ থেকে ১০টি গ্যাং রয়েছে। এদের মাধ্যমে মাদকের চালান আদান-প্রদান হয় বলেও জানা গেছে। জানা যায়, কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হোসেন বিপ্লব স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হোসেনের ছত্রছায়ায় নানা অপকর্ম করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০১৮ সালে ডিএমপি’র লালবাগ বিভাগে মাদক ব্যবসায়ী, গডফাদার, পৃষ্ঠপোষক ও মদতদাতাদের হালনাগাদ তালিকায় উঠে এসেছিল তাদের অনেকের নাম। বড়গ্রামের বাঁশতলায় বিপ্লবের বাড়ির নিচে ডিশ লাইনের অফিস রয়েছে। বিভিন্ন বিচারিক বিষয় নিয়ে ওইরুমে নিয়ে যায় ভুক্তভোগীদের। সেখানে মানুষজনকে মারধর করারও অভিযোগ রয়েছে।
থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি নাঈমের প্রতিষ্ঠিত ডিশ লাইনের ব্যবসাটি মো. হোসেন ও ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব দখলে নিয়ে যান। ২০১৪ সালের পর কামরাঙ্গীরচরের পুরো ডিশ লাইনের নিয়ন্ত্রণ এখন কাউন্সিলর হোসেনের। প্রতি মাসে দখলে নেওয়া ডিশ লাইন থেকে কাউন্সিলর হাতিয়ে নিচ্ছেন বড় অঙ্কের টাকা।
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বিরোধ: দলীয় প্রতিহিংসা-বিরোধ তৈরি করে টিকিয়ে রাখতে চান তার ক্ষমতার দাপট। কমিশনারের নির্যাতন ও অত্যাচারে এলাকা ছেড়েছেন বহু রাজনৈতিক নেতাকর্মী। যারা এলাকা ছাড়েননি তাদের অনেকে ভয়ে কথা বলতে সাহস পান না। শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নির্যাতিত হয়েছেন তার হাতে। কামরাঙ্গীরচর এলাকায় সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে তার ক্যাডার বাহিনী মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়।
অনুসন্ধানে এই প্রতিবেদকের হাতে আসা একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার প্রথম টার্মে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কাউন্সিলরের ক্যাডার বাহিনী ১০০-১৫০ লোকজন একত্রিত হয়ে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে গিয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে ভাঙচুর চালাচ্ছেন। এদিকে কামরাঙ্গীরচরের খলিফাঘাট এলাকার একটি বাড়ি বিক্রিকে কেন্দ্র করে ক্যাডার বাহিনীসহ সেখানে কাউন্সিলর নিজেই উপস্থিত হয়ে প্রকাশ্যে মানুষের সামনে একটি পরিবারকে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এই ভিডিওতে তাকে হুঙ্কার দিয়ে বলতে শোনা যায়, এই দেশে জুলুম চলবো না। একমাত্র খালি আমি জুলুম করুম।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ২০/২৫ বছর ধরে ব্যবসা করি মাছ বাজারে। তখন কোনো টাকা-পয়সা দিতে হতো না। কিন্তু এই কাউন্সিলর আসার পর থেকে দিনে পাতিল হিসাবে এক পাতিলে ৫০-৬০ টাকা দিতে হয়। এখানে ২০-২৫টি দোকান রয়েছে। মাসে প্রায় এক হাজার ৮০০ টাকা চলে যায়। এই টাকাগুলো ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী মিন্টু শেখের মাধ্যমে হোসেন কাউন্সিলর তোলে। এখান থেকে আবার ডেইলি ৫০০ টাকা থানা-পুলিশকে দেয়। এলাকায় হাসপাতালের সামনে বেশকিছু ভাসমান দোকান আছে সেখান থেকেও টাকা কলেকশন করে। দোকান প্রতি ১৫০ টাকা নেয়। আনুমানিক ৩০০-৩৫০’র মতো দোকান আছে। এইসব টাকা কালেকশনের কোনো ডকুমেন্ট রাখে না। ইউনিটের প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারির মাধ্যমে এই টাকা সংগ্রহ করে। ভয়ে আমরা কেউ মুখ খুলতে সাহস পাই না।
৫৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, তিনি ক্ষমতালোভী। এককভাবে কামরাঙ্গীরচর নিয়ন্ত্রণ করছেন। এখানে এমপি’র চেয়েও তার ক্ষমতা বেশি মনে করেন তিনি। আওয়ামী লীগের কোনো সিনিয়র নেতাকে মূল্যায়ন করেন না। এখানে মসজিদ থেকে বাড়িঘর সব তার নিজের মনে করেন। পারলে পুরো মহল্লাটি দখল করে খায়। মসজিদগুলোতেও চালায় দলীয় হস্তক্ষেপ। সেখানে দলীয় হস্তক্ষেপতো চলবো না। যেখানে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করে সেখানে গিয়ে যদি দলীয় কার্যকলাপ করে তাহলে বিষয়গুলো কেমন হয়। নিজের দলের মধ্যেও বিরোধ সৃষ্টি করে। কবরে গিয়েও সে দেখবে আওয়ামী লীগ আছে কিনা। এই এলাকায় রাজনীতি ও মানুষজনকে ধ্বংস করে দিয়ে সে তার আখের গুছিয়ে বিদেশে চলে যাবে। তিনি বলেন, ব্যাটারিমোড়ে ঈদগাহ্ মাঠ আছে। এই জায়গাটি শাহ আলম নামে এক ব্যবসায়ী ক্রয় করেছিলেন। তিনি আবার কিছু জায়গা বিক্রি করে দেন। পুরো জায়গাটিতে মিল, কারখানা ছিল। কিন্তু সেই জায়গা এই কাউন্সিলর দখল করে ঈদগাহ মাঠ বানিয়েছেন। এবং সেখানে প্রতি সপ্তাহে একদিন মেলার আয়োজন করেন। সেখান থেকে লাখ লাখ টাকা আয় হয়। শুধু তাই নয়, এই মাঠে ঈদের নামাজ হলেও তিন ডবল চাঁদা আদায় করে। নামাজে, জানাজায়, দাফনে-কাফনে সব জায়গা চলে তার চাঁদাবাজি। তার মাথায় মানুষের টাকা লুটপাট ছাড়া আর কোনো কিছু কাজ করে না। সিটি করপোরেশনের ময়লার স্ট্যান্ডটি জয়নাল নামে একজনে এক কোটি টাকা খরচ করে বানিয়েছিল। কিন্তু সেটি কাউন্সিলর মেরে দিয়ে নিজের দখলে নিয়ে নিয়েছে। সেখানে রয়েছে ট্রাকস্ট্যান্ড। প্রশাসন দাঁড় করিয়ে দিয়ে তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে লুটপাট করায়। এই কামরাঙ্গীরচর থানার মধ্যে তিনি একাই সরকারকে ভোট দেবেন। তিনি এ দেশের রাজত্ব কায়েম করবেন। ভুক্তভোগী মামলা ও জীবনের ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না।
অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন মানবজমিনকে বলেন, আমাদের এই ওয়ার্ডে সরকারি কোনো মাঠ নেই। আমাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি সরকারি সম্পত্তি ছিল সেগুলো আমরা উচ্ছেদ করিয়েছি মাত্র। সেখানে ঈদগাহ মাঠ তৈরি করেছি। এই জায়গাটি সরকারি ছিল। কতিপয় দুষ্ট লোক এটি দখল করে রেখেছিল। এটার এখন মামলা চলছে। যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তাদের আবার দেখতে হবে, তারা কারা। যে সাধারণ মানুষগুলো অভিযোগ করেছে এমন একটি লোকের নাম-ঠিকানা-ফোন নম্বর-বাড়িঘরের ঠিকানা দেন। যারা এই দলটিরই, তারা কোনো না কোনো কারণে প্রতিযোগিতায় টিকতে যখন পারে না তখন প্রতিহিংসা থেকে এই মিথ্যা অভিযোগগুলো দেয়। এই সমস্ত বিষয়গুলো ফালতু কথা; সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং কারসাজি। এই ধরনের বিষয়গুলো বর্তমানে নেই। আমার সব শ্রেণির মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। এলাকায় ভালো কাজ করি। অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। কেউ দখল করতে এলে তা প্রতিহত করি।
সূত্র -মানবজমিন /ফাহিমা আক্তার সুমি