ক্রীড়া ডেস্ক:
প্রায় দুই দশক ধরে পেশাদার ক্রিকেটে খেলছেন সাকিব আল হাসান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও একেবারেই ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে চলে এসেছেন। টেস্ট ফরম্যাটে সাকিবকে আবার দেখা যাবে এমন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আর টি-টোয়েন্টিতে অবসরের পাকাপাকি ঘোষণাও চলে এসেছে তার পক্ষ থেকে। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর সাকিবকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যাবে এমন সম্ভাবনা খুবই কম।
এই লম্বা ক্যারিয়ারে জাতীয় দল ছাড়াও খেলেছেন বিশ্বের প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। তবে কোনো দিন সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। ক্যারিয়ারের গোধূলী বেলায় এসে বাঁহাতি এই স্পিনারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ উঠেছে।
সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডে কাউন্টি খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব। সারের হয়ে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছেন। সমারসেটের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৯ উইকেট পেয়েছিলেন। সেখানেই অনফিল্ড আম্পায়াররা সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কাউন্টি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই বিষয়টি সাকিবকে জানানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এখন সাকিবকে দিতে হবে বোলিং পরীক্ষা।
কবে নাগাদ হতে পারে এই পরীক্ষা, তা জানতেই যোগাযোগ করা হয় ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তার সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেই কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে জানান, ‘টন্টনে সারে বনাম সমারসেট ম্যাচে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ করেন অনফিল্ড আম্পায়ার। এই নিয়ে আমরা সাকিবের সঙ্গে কাজ করছি যেন একটা অনুমোদিত ল্যাবে পরীক্ষা নেয়া যায়। এখন পর্যন্ত দিন নির্দিষ্ট না হলেও বলতে পারি, আগামী দুই সপ্তাহের মাঝে বোলিং পরীক্ষা হবে তার।’
তবে এই বোলিং পরীক্ষা কেবলই কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ উঠলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা অন্যান্য ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে তার কোনো বাধা নেই। তাই এই অভিযোগের সঙ্গে আফগানিস্তান সিরিজে সাকিবের না খেলার কোনো সম্পর্ক নেই।