জাবিতে নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
সাজ্জাদ হোসেনঃ
নানা আয়োজনে নাট্যকার সেলিম আল দীনের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যদল ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবনে জাবি নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীদের সেলিম আল দীনের গান এবং ‘আর্ট ক্যাম্প: শিল্পের রূপান্তর’ মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনব্যাপী অনুষ্ঠান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা একটি স্মরণযাত্রা বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সেলিম আল দীনের কবরস্থানে গিয়ে শেষ হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ইসরাফিল আহমেদের নেতৃত্বে স্মরণযাত্রায় অংশ নেন নাট্যকর্মী নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, জাহিদ রিপন, শহীদুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।
এসময় নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার, ঢাকা থিয়েটার, স্বপ্নদল, অন্নিতা সেলিম আল দীন বিদ্যাপীঠ, জাবি শিক্ষক ছাত্র কেন্দ্র, তালুকনগর থিয়েটার, সাভার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বুনন থিয়েটার ও আরশিনগর থিয়েটার তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আফসার আহমেদ থিয়েটার ল্যাবরেটরিতে সেলিম আল দীন আলাপন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে আল দীনের নাট্যকর্ম নিয়ে আলোচনা করেন থিস্পিয়ান নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, অধ্যাপক রশিদ হারুন, অধ্যাপক লুৎফর রহমান।
আলোচনায় নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, ‘বাংলাদেশে আল-দীন-পরবর্তী থিয়েটারের কাজগুলি সমাজ এবং থিয়েটারের গল্পের মধ্যে কিছু স্বাতন্ত্রতা তৈরি করছে। সেলিম আল দীনের মৃত্যুর পর থিয়েটার অঙ্গনে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা আল দীনের গ্রামীণ থিয়েটারের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে কমিয়ে আনা যেতে পারে।
এদিকে সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে জাবির নাট্য ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা সেলিম আল দীনের নাটকের গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়া নূর-ই-নাজনীনের পরিচালনায় মুক্তমঞ্চে মঞ্চস্থ হয় আল দ্বীন-রচিত নাটক নিমজ্জন।
সেলিম আল দীন ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার সেনেরখিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তার উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ খোলা হয় এবং তিনি এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৪ জানুয়ারি ২০০৮ সালে পরলোকগমন করেন তিনি।