জাবিতে মধ্যরাতে ইন্টারনেট কর্মচারীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১২:০২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫

সানজিদা মাহবুবা:

 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হল এলাকা থেকে এক ইন্টারনেট কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে হল এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে হলের কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।

নিহত প্রীতম রায় মীর মশাররফ হোসেন হলে ইন্টারনেট প্রোভাইডার মাস্টারনেটের কর্মচারী। তিনি সাভারের ভাটপাড়া এলাকায় ইন্টারনেট কোম্পানির বাসায় থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর।

মীর মশাররফ হোসেন হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও কর্মচারী সূত্রে জানা যায়, রাতে প্রীতমসহ চারজন কর্মচারী হলে ইন্টারনেট সার্ভিসিংয়ের কাজ করছিলেন। প্রীতম হলের এ-ব্লকের চারতলা ভবনের ছাদের সার্ভিসিং করছিলেন বাকিরা হলের অন্যদিকে কাজ করছিলেন। পরে প্রীতমের খোঁজ না পেয়ে তাকে খোঁজাখুঁজির পর হলের পেছনের অংশ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের ধারণা, তিনি ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন।

এ বিষয়ে মাস্টারনেটের মালিক মো. রুবেল বলেন, দিনের বেলায় সব শিক্ষার্থী রুমে অবস্থান করে না। সে জন্য রাতেই তার কর্মচারীরা হলে সার্ভিসিংয়ের কাজ করছিলেন। ছাদে প্রীতম ইন্টারনেটের লেজারের কাজ করছিলেন। রাত ১১টার দিকে হলে বাকি যারা কাজ করছিলেন তাদের একজনকে প্রীতম ফোনে জানিয়েছিলেন তিনি দুটি লেজার সার্ভিসিং করেছেন আর দুটি বাকি আছে। এরপরে তার সাড়া শব্দ না পেয়ে খোঁজাখুঁজির পর হলের পেছনের অংশে প্রীতমের মরদেহ দেখতে পান।

এ বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহামুদুর রহমান বলেন, স্পটে দুইবার গিয়ে এবং কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে যেটা ধারণা করছি সেটা হলো, হলের ছাদের চিলেকোঠার কার্নিশ ধরে ওপরে উঠতে গিয়ে হয়তো পড়ে গেছে। কারণ আমরা কার্নিশের ইট ভাঙা পেয়েছি।