জাবি কর্মচারীদের অবস্থান ধর্মঘট: তালা ভেঙে অফিসে ঢুকলেন উপাচার্য

প্রকাশিত: ৪:৫৭ অপরাহ্ণ, জুন ৮, ২০২৩

পোষ্যদের ভর্তির ক্ষেত্রে বিভাগীয় শর্ত বাতিল করাসহ ১৪ দফা দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কর্মচারীরা। তবে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম তালা ভেঙে অফিসে ঢুকেছেন বলে জানিয়েছেন কর্মচারীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালায় ৮৩ ও ৮৪ নম্বর ক্রমিকের শর্ত ও অভিজ্ঞতায় ন্যায় ৮৫ নম্বর ক্রমিকের শর্ত ও অভিজ্ঞতা একই করা ও ঊর্ধ্বতন সহকারী, সর্টার গ্রেড-৩ এবং সমমানের কর্মচারীদের উচ্চতর স্কেল দেওয়া; তৃতীয় শ্রেণি ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নৈশ ভাতা, সব কর্মচারীদের ওভারটাইম বেসিক হারে দেওয়া; বাস ড্রাইভারদের ন্যায় বাস হেলপার, কন্ডাক্টরদের ২৫০ ঘণ্টা ওভারটাইম দেওয়া; মাস্টাররোল ও দৈনিক মজুরিভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ; সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির টাকা ওভারটাইম হিসেবে দেওয়া।

এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পুরাতন বাসা ভাড়া কমানো; হল অ্যাটেনডেন্টদের উৎকালীন ভাতা ১২০০ টাকার পরিবর্তে বেসিকহারে ওভারটাইম দেওয়া; একটি নতুন পাবলিক/প্রাইভেট ব্যাংকের শাখা চালু করা; রাঙামাটি কবরস্থান জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা; রাঙামাটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থানান্তর করা; বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত সব সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভিনিং ও উইকেন্ডসহ সব ডিগ্রির সার্টিফিকেট আমলে নিয়ে কর্মচারীদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করা; কলাবাগান ও রাঙামাটি আবাসিক এলাকার জামে মসজিদে ইমাম নিয়োগ করা ও ২০ নম্বর হল থেকে কলাবাগান আবাসিক এলাকায় পানি সংযোগ স্থাপন করা, শহীদ সালাম বরকত হল থেকে কলাবাগান মসজিদ পর্যন্ত রাস্তায় বিদ্যুৎ সংযোগ এবং কলাবাগান ও রাঙামাটি আবাসিক এলাকার ঝুলন্ত তার সরিয়ে যথাস্থানে স্থাপন করা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব খান টিপু বলেন, ‘প্রশাসনের কাছে অনেক আগে থেকেই দাবিগুলো জানিয়েছি। প্রশাসন আশ্বস্ত করছিলো পরের সিন্ডিকেট সভায় দাবি মেনে নেওয়া হবে। তবে দীর্ঘসময় অতিবাহিত হলেও প্রশাসন দাবি মেনে নেয়নি। আমরা বাধ্য হয়ে কর্মসূচি দিয়েছি, তবুও উপাচার্য আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেননি। অথচ তিনি তালা কেটে অফিসে ঢুকেছেন।’

এর আগে, গতকাল বুধবার (৭ জুন) সকাল পৌনে নয়টার দিকে ১৪ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন কর্মচারীরা।