জামালপুরের সাংবাদিক নাদিম হত্যার আসামি হলেন উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জামালপুর (বকশীগঞ্জ) প্রতিনিধি:
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিত গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি সহিদুর রহমান লিপন বকশীগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি মনোনীত হয়েছেন। তাকে সভাপতি করে জামালপুর জেলা তাঁতি লীগ বকশীগঞ্জ উপজেলা কমিটির অনুমোদন দিয়েছে।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) জামালপুর জেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক জাকির হোসেন এবং সদস্য সচিব আরমান হোসেনের স্বাক্ষরে ৩ বছরের জন্য ওই কমিটি অনুমোদিত হয়।
সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় ১৭ জুন সহিদুর রহমান লিপনকে বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতিলীগ থেকে বহিস্কার করে। বহিস্কারের তিনমাস পর জামালপুর জেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক জাকির হোসেন এবং সদস্য সচিব আরমান হোসেন ৩ বছরের জন্য ওই কমিটির অনুমোন দেন।
সহিদুর রহমান লিপন বকশীগঞ্জ উপজেলার মালিরচর তকিরপাড়া গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ইউসুফ আলী বলেন, একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামিকে ক্ষমতাসীন সহযোগী সংগঠনের উপজেলা শাখার সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া মানে আসামিকে পুরস্কৃত করার শামিল।
জামালপুর জেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রুকু বলেন, সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় সহিদুর রহমান লিপনকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছিলাম। নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা থাকতেই পারে। এখন তিনি জামিনে আছেন। সে কারণেই তাকে বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম জানান, হত্যা মামলা থেকে মুক্ত করতেই লিপনকে তাঁতীলীগের সভাপতি করা হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিক সমাজের সহায়তা চেয়েছেন মরহুম সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম।
সাংবাদিক নাদিমের মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত জানান, আমি আমার বাবা হত্যার বিচার চাই। সাংবাদিক সমাজ আমার পরিবারকে সহায়তা না করলে আমার পরিবার আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
উল্লেখ্য, ১৪ জুন রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হয়ে নিহত হন বাংলানিউজের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম। ১৫ জুন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।