গ্রীষ্মকালের একটি জনপ্রিয় ফল জাম। দেশীয় এই ফলটির স্থায়িত্বকাল অন্যান্য ফলের তুলনায় বেশ কম। বিশেষজ্ঞদের মতে, জাম পুষ্টিগুণে অনন্য। তবে নিয়ম না মেনে কিছু খাবারের সঙ্গে এই ফলটি খেলে এর পুষ্টিগুণের পরিবর্তে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা।
পুষ্টিগুণে অনন্য এই ফলটিতে আছে পটাসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি। এসব উপাদান রক্ত পরিশোধনকারী হিসেবে দারুণ কাজ করে। তাই রক্তের দূষিত পদার্থ শোষণ করে রক্ত পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত এ সময়টায় খেতে পারেন জাম।
রক্তে প্রয়োজনীয় উপাদান হিমোগ্লোবিন এবং আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে জাম কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। রক্ত পরিষ্কার করার পাশাপাশি এটি ত্বককেও সুস্থ রাখে। চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও জাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে, হার্ট অ্যাটাক বা মানসিক চাপের আশঙ্কা হ্রাস করতে এ ফলের জুড়ি মেলা ভার। জাম ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও দারুণ কাজে আসে। কিন্তু নিয়ম না মেনে খেলে এসব উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন আপনি।
জাম খাওয়ার আগে, জাম খাওয়ার সময় কিংবা পরে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে, যা না মানলে শারীরিক নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
যেমন কখনোই খালি পেটে জাম খাবেন না। এভাবে জাম খাওয়ার কারণে আপনার পেটের বিভিন্ন সমস্যা যেমন: গ্যাস্ট্রিক, বদহজম, অম্বল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পুষ্টিবিদদের মতে, আবার কিছু খাবারের সাথে এই ফল শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। যেমন জাম ও হলুদ খুবই মারাত্মক জুড়ি। তাই এই দুটো জিনিস কখনো একসঙ্গে খাবেন না। জাম খাওয়ার পর হলুদ দিয়ে তৈরি কোনো খাবারও না খেয়ে এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করুন।
জাম খাওয়ার আগে পানি পান করতে চেষ্টা করুন। জামের পুষ্টিগুণ অটুট রাখতে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জাম খাওয়ার পর কখনোই পানি পান করবেন না। পানি পান করতে অন্তত আধঘণ্টা অপেক্ষা করুন।
চিকিৎসকরা বলছেন, জাম খাওয়ার পর দুধ, পনির, দইয়ের মতো দুগ্ধজাত খাবার শরীরের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই জাম খাওয়ার পর কখনোই এসব খাবার খাবেন না।