জাল নোট পাল্টে দেওয়ার কথা বলে ব্যাংক থেকে গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও

প্রকাশিত: ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০২৫

রাজশাহী প্রতিনিধি:

খাদিজা বেগম (৪৫) সোনালী ব্যাংক রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ শাখার একজন গ্রহক। তিনি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা তুলতে সোমবার (৩ মার্চ) সকালে ব্যাংকটিতে আসেন। তবে টাকাটা তোলার পরই বাধে বিপত্তি।

ব্যাংক ভেতর থেকে খাদিজা বেগমের ৬৮ হাজার টাকা নিয়ে পালান তিন প্রতারক। ভুক্তভোগী খাদিজা বেগম উপজেলার চানপাড়া গ্রামের গৃহবধূ।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, সকালে ব্যাংকের ওই শাখায় টাকা উত্তোলনের জন্য যান খাদিজা বেগম। নিজের জমানো টাকা তুলতে তার চেকটি নারী গ্রাহকদের বুথে জমা দেন। তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল তিন ব্যক্তি (প্রতারক)। ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা বুঝে পাওয়ার পর ওই তিন ব্যক্তি খাদিজার কাছে আসে। এসময় প্রতারকদের মধ্যে একজন নিজেকে ব্যাংকের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি খাদিজাকে বলেন, ভুলক্রমে তাকে ‍কিছু জাল টাকা দেওয়া হয়েছে। পাল্টে আসল নোট দিতে হবে। এছাড়া খাদিজাকে পাশের কাউন্টারে যাওয়ার কথা বলে তারা কৌশলে সটকে পড়েন।

পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে খাদিজা বিষয়টি জানালে ব্যাংকের সিসিটিভির ফুটেজে তিন ব্যক্তিকে দেখা গেছে। তবে তাদের শনাক্ত করতে না পেরে বিকেলে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ভুক্তভোগী নারী।

খাদিজা বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, প্রতারক নিজেকে ব্যাংকের লোক পরিচয় দেয়। এতে আমি বিশ্বাস করি। ব্যাংকের ভেতরে এ রকম হবে, তা কখনো ভাবিনি। আমি টাকা উদ্ধারসহ প্রতারকদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছি।

এ বিষয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, সিসি ফুটেজ দেখে মনে হয়েছে, প্রতারকরা আগে থেকেই ওই নারীকে অনুসরণ করেছে। সুযোগ বুঝে টাকা নিয়ে সটকে পড়েছে। গ্রাহককে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবে।

এ বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ওই নারী ব্যাংক থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা তুলেছিলেন। এ সময় প্রতারকরা খাদিজাকে বলে আপনার কাছে বেশ কিছু জাল টাকা গেছে। সেগুলো পরির্বত করতে হবে। এই বলে তারা ৬৮ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে