করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে তার স্বাস্থ্যগত অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি বরং তা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করতে হচ্ছে তাকে। তার শরীরে ইতোমধ্যেই করোনা মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পরিবর্তে এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দায়িত্বে আছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্থানীয় সময় রোববার রাতে সেন্ট থমাস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রধানমন্ত্রী জনসনকে। করোনা পজেটিভ আসার ১০দিন পর তার শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা এবং তীব্র কাশির কারণে তাকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী জনসনের করোনায় আক্রান্তের ঘটনা পুরো ব্রিটিশ সরকারকে নাড়িয়ে দিয়েছে। দেশের একেবারে শীর্ষস্থানীয় নেতার করোনায় আক্রান্তের ঘটনা সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় বরিস জনসন জানিয়েছিলেন যে, তার শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি। করোনায় আক্রান্ত হয়েও আইসোলেশনে থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন জনসন।
বেশ কয়েকজন দাবি করেছেন যে, কনফারেন্স কলের সময় বরিস জনসনকে প্রচণ্ড কাশতে দেখা গেছে। ব্রিটেনের আবাসনমন্ত্রী রবার্ট জেনরিক জানিয়েছেন, করোনা পজেটিভ আসার পরেও গত কয়েক দিন ধরে কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন জনসন।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাদিন দোরিস প্রথম কোনো মন্ত্রী হিসেবে করোনায় আক্রান্ত হলেও তিনি এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। নাদিনের মতে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ঘুমানো প্রয়োজন এবং সুস্থ হওয়া দরকার। ১০ দিন আগে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ার পর থেকেই আইসোলেশনে ছিলেন জনসন।
তার প্রধান স্বাস্থ্য উপদেষ্টাও সেলফ আইসোলেশনে আছেন। তার অন্তঃসত্ত্বা হবু স্ত্রী ৩২ বছর বয়সী কেরি সিমন্ডসের শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা দিলেও তিনি এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় জনসনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। সে কারণেই তাকে ইন্টেন্সিভ কেয়ারে রাখা হয়েছে। সেখানে মূলত গুরুতর রোগীদেরই সেবা দেওয়া হয়। যদিও তাকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে, তবে তার কার্যালয় বলছে যে, এখনও তার জ্ঞান আছে।