জেনে নিন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কোন গাড়ির টোল কত

প্রকাশিত: ৯:৪৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৬, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (বিমানবন্দর-যাত্রাবাড়ী) টোল সর্বনিম্ন ১০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৬২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাইভেটকার, জিপ, মাইক্রোবাস, ট্যাক্সির মতো হালকা যানবাহন থেকে ছয় চাকার বেশি গাড়ির জন্য এই টোল গুনতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ। এতে চলাচলের জন্য যানবাহনকে চার শ্রেণিতে বিভক্ত করে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, হালকা যানবাহনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন টোল ১০০ টাকা। এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলে বা আংশিক ব্যবহার করলেই এই অর্থ দিতে হবে। তবে এক্সপ্রেসওয়ের শেষ পর্যন্ত ব্যবহার করলে হালকা যানবাহনকে গুনতে হবে ১২৫ টাকা।

বাসের ক্ষেত্রে এক্সপ্রেসওয়ের আংশিক ব্যবহার করলে ২০০ টাকা এবং পুরো এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করলে ২৫০ টাকা টোল দিতে হবে।

মাঝারি (ছয় চাকা পর্যন্ত) আকারের ট্রাকের বেলায় এক্সপ্রেসওয়ে আংশিক ব্যবহার করলে ৪০০ টাকা আর পুরোটা ব্যবহার করলে ৫০০ টাকা গুনতে হবে।

বড় ট্রাকের (ছয় চাকার বেশি) ক্ষেত্রে এক্সপ্রেসওয়ের টোল আংশিক ব্যবহারে ৫০০ টাকা এবং পুরোটা ব্যবহার করলে ৬২৫ টাকা।

এ ছাড়া এক্সপ্রেসওয়েটিতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ দুই ও তিন চাকার যানবাহন চলতে পারবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আকতার বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের টোলহার আগেই নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি চালুর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। এই এক্সপ্রেসওয়ে থেকে সাড়ে ২১ বছর টোল আদায় করবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোলহার আগে নির্ধারণ করায় এটি চালুর সময় টাকার পরিমাণ কমতে-বাড়তে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

গত সোমবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান, এক্সপ্রেসওয়েটির এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত প্রথম অংশ আগামী ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অংশের মেইন লাইনের দৈর্ঘ্য ১১.৫ কিলোমিটার। এরমধ্যে মোট ১৫টি র‍্যাম্প রয়েছে, যার ১৩টি উন্মুক্ত।

তিনি আরও জানান, এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত আসতে সময় লাগবে ১০ মিনিট। তবে পথচারী ও বাইসাইকেল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর চলবে না। আপাতত মোটরসাইকেল চলাচল করবে না।

ওবায়দুল কাদের জানান, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট ব্যয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। ১৯.৭৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ। প্রকল্পটি আগামী বছরের ২ জুন শেষ হবে।