লাইফস্টাইল ডেস্ক
শীতের সময়ে জ্বরের সমস্যা দেখা যায় প্রায় প্রতি ঘরেই। শুধু জ্বর না, সঙ্গে থাকে সর্দি-কাশিও। শীতে এ ধরনের অস্বস্তিকর সমস্যা চলতেই থাকে। ফলে এসময়ের মজার সব খাবার উপভোগ করা তো হয়ই না, উল্টো মুখের স্বাদ চলে যায়। তখন যা খাওয়া হয় তাই তেতো স্বাদের লাগে। আবার জ্বর, সর্দি, কাশিতে শরীর হয়ে পড়ে দুর্বল। মুখের এই রুচি চলে যাওয়ার সমস্যা কীভাবে দূর করা যায়?
আপনি যদি রুচির অভাবে খাবার কম খেতে থাকেন বা না খেতে পারেন তবে ধীরে ধীরে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়বে। শীতের প্রকোপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে সুস্থ হতে হবে। নয়তো শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে শীতের অসুখের সঙ্গে লড়াই করা কঠিন হয়ে যাবে। দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য আপনাকে মুখের স্বাদ ফেরাতে হবে। এজন্য খাবার খাওয়ার অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। তাতে আপনার মুখের স্বাদ দ্রুতই ফিরে আসবে, দূর হবে মুখের ভেতরের তিতকুটে ভাবও।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, কারও জ্বর হলে সেক্ষেত্রে হাই কার্বোহাইড্রেট ডায়েট মেনে চলা উচিত। এই সময় শরীরে ক্যালোরি, প্রোটিনের ঘাটতি বেশি হয়ে থাকে। যার ফলে শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই যখনই জ্বর হবে, ভিটামিন, প্রোটিন, মিনারেল, ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার পরিমাণ মতো খেতে হবে। এভাবে খেলে রোগী দ্রুত সেরে উঠতে পারবেন। তাই এদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
জ্বরে আক্রান্ত রোগীর খাদ্যতালিকায় ক্যালোরি, কার্বের মধ্যে ভাত, রুটি সঙ্গে মাছ মাংস, ডিম, দুধ, শাক, সবজি, মৌসুমী ফল ইত্যাদি খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বাইরের খাবার বাদ দিয়ে ঘরে তৈরি হালকা খাবার খেলেও শরীর ভালো থাকবে। প্রতিদিন ডায়েটে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল থাকলে তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করবে দ্রুত। খাবারের তালিকায় এগুলো যুক্ত করলে মুখের রুচি দ্রুত ফিরে আসবে। শুরুতে খেতে ইচ্ছা না হলেও অল্প অল্প করে খাবেন।
অনেকেই আছেন যারা শীতে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয়ে টক দই খাওয়া এড়িয়ে যান। তারা খাবারের তালিকায় দুগ্ধ জাতীয় খাবার পনির, ছানা, মাখন রাখা যেতে পারে। আবার জ্বর হলে অনেকেই ঠিকভাবে খেতে চান না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, জ্বর হলে জিহ্বার স্বাদকারক সাময়িকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তাই খাওয়ার ইচ্ছা অনেকটাই চলে যা। যে কারণে এসময় হাই কার্ব ডায়েট মেনে চললে দ্রুত সেরে ওঠা সম্ভব হবে।