ঝালকাঠিতে পথসভায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলা
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জেলা প্রতিনিধি,ঝালকাঠিঃ
ঝালকাঠির কীর্তিপাশা মোড়ে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান হোসেন খানের ওপর হামলা এব্ং তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এক পথসভায় এলাকার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ ঘটনা ঘটে।এ সময় সেখানে উপস্থিত দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সাংবাদিক শফিউল ইসলাম সৈকত চেয়ারের আঘাতে আহত হন এবং তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া আরও একজন সাংবাদিকের ক্যামেরা ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ ঘটনায় প্রার্থী সুলতান হোসেন খানসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। ঘটনার খবর পেয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ঘটনাস্থলে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ প্রহরায় ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঝালকাঠি জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাইম বলেন, ‘আহত সুলতান হোসেনের বাঁ কাঁধে গুরুতর আঘাত লেগেছে। এ ছাড়া মাথা ও জয়েন্টে আঘাতের কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে রেফার করা হয়েছে।’
সুলতান হোসেনের কর্মীরা বলেন, ‘ঘটনাস্থলে একটি নির্বাচনি পথসভা চলছিল। হঠাৎ নির্বাচনি প্রতিপক্ষ অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আরিফ খানের সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। প্রথমে মারধর করা হয় সুলতান ভাইকে। এরপর চেয়ার দিয়ে বেধড়ক পিটুনি শুরু করে হামলাকারীরা। চেয়ার ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকসহ আমাদের কমপক্ষে ২০ জনকে আহত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ছুটে না এলে আরও অনেকে আহত হতো।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকরা বলেন, ‘প্রায় অর্ধ শতাধিক হামলাকারী আকস্মিক ঘটনাস্থলে এসে আমাদেরসহ সবাইকে পেটানো শুরু করে। এ সময় প্রার্থী সুলতান হোসেন খানকে তারা বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসলে তারা চলে যায়।’ এর আগে ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের পূর্ব বিন্নাপাড়া ওয়ার্ডের সুলতান হোসেন খানের নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।
এ বিষয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. মহিতুল ইসলাম জানান, প্রার্থী সুলতান হোসেন খানের পথসভায় হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি আহত হওয়ায় পুলিশের সহায়তা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলেই মামলা এবং ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অন্যদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে খান আরিফুর রহমান বলেন, ‘কারা এ হামলা করেছে তা আমি জানি না। আমি সেখানে ছিলাম না।’