ঝালকাঠি-১: এমপি বজলুল হকের মনোনয়নপত্র বাতিল, শাহজাহান ওমরের বৈধ

প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের আলোচিত প্রার্থী বিএনপির সাবেক নেতা মেজর (অব.) শাহজাহান ওমরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেও শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় বর্তমান সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

রবিবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শাহজাহান ওমরের মনোনয়নপত্র বৈধ ও বজলুল হক হারুনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারাহ গুল নিঝুম। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে ঝালকাঠির দুটি আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। পরে দুটি আসনে আট জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ও সাত জনের মনোনয়নপত্র বাতিলের ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন নৌকার প্রার্থী শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম)। বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর প্রথমবারের মতো তিনি আজ ঝালকাঠিতে উপস্থিত হন। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে দেখা গেছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা ১১ জনের মধ্য ছয় জন ও ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনে চার জনের মধ্যে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়নপত্র বাতিলের তালিকায় আছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নের প্রথম তালিকায় থাকা বর্তমান সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন, স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এম মনিরুজ্জামান মনির, কৃষি ব্যাংকের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (স্বতন্ত্র), জাতীয় পার্টির মো. এজাজুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার আবুল কাশেম ফখরুল। ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. নাসির উদ্দিনের। ঝালকাঠি-২ আসনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংসদীয় এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হয়। দৈবচয়ন পদ্ধতিতে যাচাই-বাছাই কমিটির প্রধান ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারাহ গুল স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে স্বাক্ষর করা ১০ জন ভোটারের মোবাইলে কল দিয়ে স্বাক্ষর করেছেন কিনা জানতে চান। তালিকায় গরমিল পাওয়ায় চার স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির দুটি আসনের দুই প্রার্থী আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।