জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর
টঙ্গীতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ দু’জনকে আটক করেছে র্যাব। টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার একটি বহুতল ভবনে শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালায় র্যাব।রোববার (২৪ মার্চ) ওই ভবনের নিচতলায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন।গ্রেফতাররা হলেন- তাজুল ইসলাম (৪০) ও হারুন (৪০)। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার একটি নিয়মতান্ত্রিক টেলিকমিউনিকেশন পদ্ধতি চালু করতে চায়। টেলিকমিউনিকেশন খাতে যত অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলাকারী আছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাই। বাংলাদেশের রাজস্ব বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অবৈধ ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) কল বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অপরাধীদের একটি কঠোর বার্তা দিতে চাই। সেই সঙ্গে মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধিত ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলারদের অবহেলার কারণে অপরাধীরা যেন কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অপরাধীরা দেশের যেকোনো প্রান্তে, যত কৌশলেই অপরাধ কর্মকাণ্ড করার চেষ্টা করুক না কেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রাখবে।
পরে র্যাবের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন বলেন, শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর একটি দল জানতে পারে, টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার অগ্রণী টাওয়ার নামের একটি বহুতল ভবনে অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম রয়েছে। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে ভবনের তিনটি ফ্ল্যাটে রাখা ৩২টি সিম বক্স ডিভাইস, কয়েকটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন অপারেটরের প্রায় ১১ হাজার সিম কার্ডসহ অভিযুক্ত দু’জনকে আটক করা হয়। তবে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
র্যাব জানায়, বিটিআরসি কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যমতে অবৈধ টেলিযোগাযোগ স্থাপনার মাধ্যমে চক্রটি প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ আন্তর্জাতিক কল মিনিট অবৈধভাবে দেশে টার্মিনেট করছিল। তাতে সরকার কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। তারা এক বছর ধরে সরকারকে কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, র্যাবের উপ-মহাপরিচালক কর্নেল মাহবুব ও র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে.কর্নেল মোস্তাক আহম্মেদ।