টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলে পৃথক দুর্ঘটনায় সড়কে ঝড়লো নারী ও শিশুসহ পাঁচজনের প্রাণ। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা হলেন- জেলার গোপালপুর উপজেলার হযরত আলীর ছেলে শাহ আলম (৪০), সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার গোয়াকড়া গ্রামের হামিদ মিয়ার ছেলে শাহান শাহ (২৫) এবং নুরজাহান (৪৫)। তারা সবাই পিকআপ ভ্যানের যাত্রী ছিলেন। এছাড়া বাসাইলে মোটরসাইকেলে নিহত শিশু ফারজানা (৩) ফুলকী ইউনিয়নের নেদার পশ্চিম পাড়া গ্রামের বাদলের মেয়ে। আজ শুক্রবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় নিউজ পোস্ট বিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের পুলিশ বক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, আজ শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের রাবনায় এলাকায় কাভার্ড ভ্যান পিকআপ সংঘর্ষে তিনজন ও বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় এক নারী ও বাসাইলে এক শিশু নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
পুলিশ কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম আরও জানান, আজ বিকেলে সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকায় কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্য স্বামীর সঙ্গে একটি পিকআপে করে রওনা হোন সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার গোয়াকড়া গ্রামের হামিদ মিয়ার ছেলে শাহান শাহ (২৫) এবং নুরজাহান (৪৫)। পিকআপ ভ্যানটি ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের রাবনা বাইপাস এলাকায় পৌঁছালে একই দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যান তাদের গাড়িটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপে থাকা প্রায় ১৫ যাত্রী আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়। অপরদিকে, একই মহাসড়কে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় অজ্ঞাত বাস চাপায় এক নারী ও বাসাইলে মোটরসাইকলে চাপায় ফারজানা (৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়। ঘটনাগুলো তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।