টিআইবি’র অনুমানভিত্তিক অভিযোগে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে হেয় করা হচ্ছে : গণপূর্ত মন্ত্রী
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
অনুমানভিত্তিক অভিযোগে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে হেয় করার প্রবণতা থেকে সরে আসার জন্য টিআইবিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।
তিনি আজ সচিবালয়ে তার দফতর কক্ষে ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল বংলাদেশ (টিআইবি)’র প্রকাশিত “ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় ’’ শীর্ষক গবেষনা প্রতিবেদনে উল্লিখিত বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহবান জানান।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, “সরকারি সকল প্রতিষ্ঠান মানুষকে হয়রানির প্রতিষ্ঠান নয়, এগুলোকে জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার চেষ্টা আমি করছি। দৃশ্যমান অনেক পরিবর্তন হয়েছে যা ইতোমধ্যে সংবাদমাধ্যমেও এসেছে। আমার মন্ত্রণালয়াধীন দপ্তরসমূহে যেখানেই অনিয়ম পাচ্ছি সেখানেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছি যেন কোনভাবেই ন্যুনতম দুর্নীতি না থাকে।”
তিনি বলেন, “গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন রাজউকের বিরুদ্ধে টিআইবির আনীত অভিযোগের তথ্য কোনভাবে সত্য নয়। এর কোন ভিত্তি নেই এবং এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জনবান্ধব একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে কারো দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হেয় প্রতিপন্ন করে আলাদা বাহবা নেয়ার চেষ্টা করেছেন তারা। আমি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার পর্যায়ে বিশেষ কোন প্রকল্পের অনুমোদনই দেয়া হয়নি। সুতরাং এ সংক্রান্ত ঘুষ দেয়ার তথ্য সঠিক নয়।”
নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনীতির প্রভাব সংক্রান্ত টিআইবি’র এক অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “আমি মন্ত্রী হবার পরে রাজউকে কোন নিয়োগ হয়নি। শুধু আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। টিআইবি বলেছে ফ্ল্যাটের চাবি প্রদানের ক্ষেত্রে টাকা দিতে হয়। উত্তরায় ফ্ল্যাট বরাদ্দ অনলাইন পদ্ধতিতে করে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে ওই দিনই তাদের চাবি দেয়া হয়েছে। শুধু সেদিন অনুপস্থিত ব্যক্তিরাই পরবর্তীতে চাবি নিয়েছেন।”
ভূমির ছাড়পত্র, আমমোক্তারনামার ক্ষেত্রে টাকা প্রদানের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “রাজউকে নির্ধারিত আইন করে দিয়েছি, নির্ধারিত সময়ের ভেতরে সেবা প্রদান করতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা অটোমেশন চালু করেছি। এক্ষেত্রে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ আসার যৌক্তিকতাই নেই।”
তিনি বলেন, “রাজউকে কঠোর অবস্থান নেয়া হয়েছে। একটা সময় রাজউক দালাল পরিবেষ্টিত বলে অভিযোগ ছিলো। বেশ কিছু দালালদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা হয়েছে। দৃশ্যমানভাবে কোন দালালের উপস্থিতি রাজউকে নেই। তারপরও সুনির্দিষ্ট কারো বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা টিআইবি বললে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতাম। আমি আশা করি টিআইবি এ জাতীয় অভিযোগ আনার পূর্বে আমাদের কে জানাবেন কী অভিযোগ পেয়েছেন, কাদের কাছে পেয়েছেন।”
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। আমরা সেটাকে কঠোরভাবে ধারণ করেছি। যেসকল দুর্নীতির অভিযোগ ছিলো তার অধিকাংশ আমরা বিনাশ করেছি এবং আগামীতেও করতে চাই। টিআইবিসহ অন্যদের বলব শুধু অভিযোগ উত্থাপন নয়, সমাধানের জন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য দিন। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। গণপূর্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরে অনিয়মের সাথে জড়িত ৯২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি যা দেশের ইতিহাসে নতুন দৃষ্টান্ত।”
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। প্রতিদিনই কোন না কোন অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। আমাদের কোন অভিযানই বন্ধ হয়নি। তবে গতি বৃদ্ধির জন্য আমরা জনবল বাড়ানোর চেষ্টা করছি।”