নিজস্ব প্রতিবেদক:
বুধবার রাত থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। টিপটিপ ঝড়ছেই। দিনভর বৃষ্টির পরও থামার লক্ষণ নেই। ঢাকাসহ প্রায় সারাদেশেই চলছে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি, আবার কোথাও হচ্ছে হালকা থেকে মাঝারি ধরনরে বৃষ্টিও হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে আকাশে যে সঞ্চারণশীল মেঘের সৃষ্টি হয়েছিল তারই প্রভাবে এই বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার বৃষ্টি কিছুটা কমে আসতে পারে। তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির কারণে নদীবন্দর গুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত আগের মতোই দেখাতে বলা হয়েছে।
একে তো হেমন্তের শেষে অসময়ের বৃষ্টি, তারপর টানা বর্ষণ। এই বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী। বিএনপির অবরোধ কর্মসূচির কারণে রাজপথে গণপরিবহন কম। এর মধ্যে বৃষ্টিতে অফিস-আদালত যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় কর্মজীবীদের। সুযোগ পেয়ে রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা চালকরা বেশি ভাড়া নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সহকারী আবহাওয়াবিদ জেবুননেসা জানান, আজ সারারাত এই বৃষ্টি থাকতে পারে। আগামীকাল শুক্রবার কিছু কিছু এলাকায় কমে আসতে পারে। ঝড়ের প্রভাবে আকাশে জমে যাওয়া মেঘের প্রভাবেই এই বৃষ্টি হচ্ছে। এতে তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি কমে এসেছে। এবার শীতের আমেজ টের পাবে রাজধানীবাসী। এরপর আর তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলেও তিনি জানান।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয় এবং বর্তমানে এটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে।
এদিকে আজ সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পূর্ব বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর গুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে যশোরে ২৬ মিলিমিটার। এছাড়া ঢাকায় ১০, রাজশাহীতে ১০, রংপুরে ২, ময়মনসিংহে ১, সিলেটে ২, চট্টগ্রামে ১, খুলনায় ১ মিলিমিটার এবং বরিশালে সামান্য বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।