ট্যুর অপারেটর সেবায় মূসক সুবিধা বহাল রাখার দাবি টোয়াবের
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
মোঃ সাইফুল ইসলাম
প্রস্তাবিত বাজেটে ট্যুর অপারেটর সেবার ওপর বিদ্যমান মূসক অব্যাহতির সুবিধা প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। তবে বিকাশমান পর্যটন শিল্পের স্বার্থে ট্যুর অপারেটরদের সেবার ওপর বাজেটে মূসক আরোপের প্রস্তাব রহিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের শীর্ষ সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
মঙ্গলবার (১১ জুন) রাজধানীর রিপোর্টাস ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টোয়াবের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এবং এফবিবিসিআই ট্রাভেল, ট্যুর অ্যান্ড হসপিটালিটি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মো. রাফেউজ্জামান বলেন, ট্যুর অপারেটররা বিভিন্ন খাত থেকে পর্যটন উপাদান সংগ্রহ করে পর্যটকদের সুবিধা ও আরামদায়ক ভ্রমণ সৃষ্টির কল্পে যে প্যাকেজ তৈরি করে তার মধ্যেই মূসক অন্তর্ভুক্ত থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় হোটেলের রুম ভাড়া করার সময়, ট্রান্সপোর্টের টিকিট ক্রয় করার সময়, রেস্টুরেন্টে খাবারের বিল প্রদান করার সময়, বিভিন্ন পর্যটন আকর্ষণীয় স্থাপনা ও অ্যামিউজমেন্ট পার্কের টিকিট ক্রয় করার সময় মূসক দিয়ে থাকে। এমনকি অন্যান্য পর্যটন সেবার ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য।
তিনি বলেন, সব পর্যটন উপাদান একত্রিত করে ট্যুর অপারেটররা পর্যটকদের সেবা প্রদান করে থাকে। এখন যদি পর্যটন উপাদান সম্মিলিত প্যাকেজে আবার নতুন করে মূসক দাবি করা হয়, তাহলে প্যাকেজ মূল্য তথা ট্রাভেল কস্ট বহুলাংশে বেড়ে যাবে। এতে করে গোটা পর্যটন শিল্প বিশেষ করে অন্তর্গামী ও অভ্যন্তরীণ পর্যটন দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
টোয়াব প্রেসিডেন্ট বলেন, যেহেতু পর্যটন শিল্প একটি ব্যাপক ও অনেকগুলো সেক্টরের সাথে সম্পৃক্ত, বিদ্যমান মূসক সুবিধা প্রত্যাহার হলে অগ্রসরমান বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দ্বারা সৃষ্ট। ওনার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ পরিচালনায় পর্যটনের যে দ্বার উন্মোচিত হয়েছে তা দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। শুধু তাই নয় পর্যটন শিল্পের দ্বারা কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও রক্ষা দুটোই করা সম্ভব যা ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাজেট ঘোষণার পরপরই এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সাথে টোয়াবের প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎকালে মূসক প্রত্যাহারের ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। এসময় এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে টোয়াবের দাবির সাথে একমত পোষণ করা হয়।
টোয়াবের প্রেসিডেন্ট মো. রাফেউজ্জামান সাংবাদিকবৃন্দের কাছে এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করে যথাযথ মহলে দাবিগুলো উপস্থাপনের অনুরোধ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে টোয়াবের সহ-সভাপতি, পরিচালকমণ্ডলী ও উপদেষ্টাবৃন্দ, সম্মানিত সদস্যবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।