মো. সাইফুল ইসলাম:
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে জাইকা আমাদের সাথে কাজ করছে। আজ রোববার সকাল ১০টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) পোস্টার এবং শ্লোগান প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাইকা-বাংলাদেশের মুখ্য প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে জাইকা আমাদের সাথে কাজ করছে। আজকের প্রতিযোগিতায় রোড সেফটির উপর ছাত্র-ছাত্রীরা সুন্দর সুন্দর শ্লোগান লিখেছে এবং প্রত্যেকের আইডিয়া সুন্দর ছিল। আমদের ইচ্ছা ছিল সবাইকেই প্রথম পুরষ্কার দেওয়ার। কিন্তু দেওয়ার সুযোগ না থাকায় পুরষ্কার দিতে পারিনি।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আমরা স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। তোমরা যদি সচেতন হও, তোমরা অন্যদের সচেতন করতে পারবে। রোড সেফটিতে সর্তকতাই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
পোস্টার এবং শ্লোগান প্রতিযোগিতার লক্ষ্য জাপানের অনুশীলনকে অন্তর্ভুক্ত করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, দায়িত্বশীল সড়ক ব্যবহারকারী এবং নিরাপত্তা দূত হিসেবে তাদের তৈরি করা। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্ররা পোস্টার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। ১৭০টি পোস্টার জমা দেওয়া হয়েছিল, সেইসাথে কলেজের ছাত্ররা শ্লোগান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল এবং ৪১০টি শ্লোগান ব্যবহার করা হয়েছিল।
ডিএমপি সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনারের উপস্থিতিতে পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। ডিএমপি, জাইকা, জেট্রো (জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন), জেসিআইএডি (ঢাকায় জাপানিজ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন) এবং ডিআরএসপি ১০০জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারীর উপস্থিতিতে চমৎকার ১০টি পোস্টার এবং ১০টি সেøাগানের জন্য পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। অন্যদেরকেও বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ পুরষ্কার প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান; যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণসহ জাইকার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সঙ্গে ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি) বাস্তবায়ন করছে। ডিআরএসপি হল তিন বছরের জন্য একটি প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রকল্প যার লক্ষ্য ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ব্যাপক ট্রাফিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে ডিএমপির সক্ষমতা জোরদার করা। ডিআরএসপি তিনটি আউটপুট নিয়ে গঠিত, এবং আউটপুটগুলোর মধ্যে একটি বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা শিক্ষা/জনসংযোগের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।