ট্রাম্পের লক্ষ্যবস্তু এবার জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল, ফিলিস্তিনি ত্রাণ সংস্থা

প্রকাশিত: ৪:২৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

 

এবার জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পক্তৃতা ও জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র তহবিল দেওয়া বন্ধ রাখার পদক্ষেপ নিতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্স বলছে, ট্রাম্প এমন সময় এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন যখন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক সফরে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আছেন। নেতানিয়াহু দীর্ঘদিন ধরে ইউএনআরডব্লিউএ এর সমালোচনা করে আসছেন। ইসরায়েলবিরোধী উস্কানির জন্য সংস্থাটিকে অভিযুক্ত করার পাশাপাশি সংস্থাটির কর্মীরা ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িত’ বলে অভিযোগ তার।

তবে এই বিষয়ে জানতে চাইলে জাতিসংঘ ও ইউএনআরডব্লিউএ কোনো সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এর আগে প্রথম মেয়াদে ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ট্রাম্প ইউএনআরডব্লিউএ এর মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। সেইসঙ্গে তিনি সংস্থাটিকে সংস্কার করার আহ্বান জানিয়ে তহবিল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

সেইসময় ট্রাম্প বলেছিলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি আলোচনা নতুন করে শুরু করার জন্য ফিলিস্তিনিদের রাজি হওয়া দরকার। গত ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পর শতাধিক নির্বাহী আদেশে সই করে একপ্রকার ঝড় তুলেন ট্রাম্প।

এরপরেই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশে সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেছে এবং নতুন সাহায্য অনুমোদন বন্ধ রেখেছে। এ ছাড়া ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের করে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। ক্ষমতার প্রথম মেয়াদেও ট্রাম্প এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, ইউএনআরডব্লিউএ-র সবচেয়ে বড় দাতা ছিল যুক্তরাষ্ট্র। বছরে ৩০ থেকে ৪০ কোটি ডলার দিতো দেশটি। কিন্তু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের চালানো হামলায় প্রায় ডজনের মতো ইউএনআরডব্লিউএ-র কর্মী অংশ নিয়েছে, ইসরায়েল এমন অভিযোগ করার পর ২০২৪ এর জানুয়ারিতে বাইডেন প্রশাসন সংস্থাটিতে তহবিল দেওয়া স্থগিত করে।

এরপর মার্কিন কংগ্রেস অন্তত ২০২৫ এর মার্চ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএনআরডব্লিউএ-কে তহবিল দেওয়া স্থগিত করে। এই সংস্থা গাজা, পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীর, সিরিয়া, লেবানন ও জর্ডানে থাকা লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে ত্রাণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিষেবা দিয়ে আসছে।