চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত বন্য হাতিটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে হাতিটি চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তবে অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন।
মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে হাতিটিকে রেলওয়ের রিলিফ ট্রেনে করে কক্সবাজার ডুলাহাজরা সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়।
বন সংরক্ষক তপন কুমার দে গণমাধ্যমে বলেন, ভোরে স্থানীয় বনবিভাগ, চুনতি বন বিট, ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের চিকিৎসক দল আহত হাতিটিকে ঘটনাস্থল থেকে ক্রেনের সাহায্যে উদ্ধার করেছে। এরপর রেলওয়ের রিলিফ ট্রেনে করে হাতিটিকে কক্সবাজার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন জানান, ছয়টি হাতির একটি দল রোববার সন্ধ্যা থেকে অভয়ারণ্যে বিচরণ করছিল। হাতি যাতে রেললাইনে ঢুকতে না পারে, সেজন্য এলিফ্যান্ট ওভারপাসের উভয় পাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ওভারপাসের উত্তর পাশে চলাচলের ছোট একটি পথ রয়েছে। সে পথ দিয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক একটি স্ত্রী হাতি দল থেকে আলাদা হয়ে যায়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঈদ স্পেশাল-১০ ট্রেন হাতিটিকে পেছনের দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ওই হাতি গুরুতর আহত হয়।
ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি অফিসার হাতেম সাজ্জাত মো. জুলকার নাইন জানান, হাতিটির বয়স ৮ থেকে ১০ বছর। মাথায় আঘাতের কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমরা ব্যথানাশক ওষুধ দিয়েছি। তবে অবস্থা গুরুতর।
প্রাণ-প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে চুনতি অভয়ারণ্যের মধ্য দিয়ে ‘উন্নয়নের রেললাইন’ স্থাপনের বিরোধিতা ছিল শুরু থেকেই। এমন দুর্ঘটনার শঙ্কা আগে থেকে করে আসছেন পরিবেশবাদীরা, যা এখন ঘটতে দেখা যাচ্ছে।