ঠান্ডার চেয়েও ভয়ের বিষয় ছিল কুমির: সুন্দরবনে শুটিং নিয়ে চঞ্চল

প্রকাশিত: ১:০৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক:

 

আবারও কাজে সরব হয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। নুহাশ হুমায়ূনের ‘২ষ’ সিরিজে ‘অন্তরা’ পর্বে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করলেও প্রচারে তিনি ছিলেন না। অবশেষে আড়াল ভেঙে নতুন কাজ নিয়ে ফিরছেন চঞ্চল। ২৯ জানুয়ারি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাবে তাঁর অভিনীত সিরিজ ‘ফেউ’।

ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে যার টিজার। যেখানে একটি সংলাপে শোনা যায়, ‘ও সুনীল দা, ফেউ কারা?’ প্রত্যুত্তরাটা এমন, এজেন্ট। সরকারি গোয়েন্দা–গে এজেন্ট কয়।’

সিরিজটিতে আরও থাকছেন তারিক আনাম খান, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, তানভীর অপূর্ব, হোসেন জীবন, তাহমিনা অথৈ, রিজভি রিজু, ফাদার জোয়া, বাবলু বোস ও এ কে আজাদ সেতু।

সিরিজটির নির্মাতা সুকর্ন সাহেদ ধীমান। তিনি বলেন, ‘পুরো গল্পজুড়েই ফেউ শব্দটার উপস্থিতি আছে। গল্পের রাজনৈতিক বর্ণনাতেও ফেউ প্রাসঙ্গিক।’

অভিনেতা তারিক আনাম খান নিজের চরিত্র নিয়ে বলেন, ‘কাজী একটি চরিত্র- এলাকায় প্রভাবশালী মানুষ। রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সব জায়গায় তার কর্তৃত্ব আছে কিন্তু সেটা সে বোঝাতে চায় না। এর মধ্য দিয়ে ওই এলাকার রাজনীতি বেশ ভালোভাবে উঠে এসেছে বলে আমার মনে হয়।’

এ অভিনেতার খুলনা অঞ্চলে জন্ম ও বেড়ে ওঠা কিন্তু তিনি কখনো সুন্দরবন দেখেননি। এবারই প্রথম তিনি সুন্দরবনের একদম ভেতরে গিয়ে শুটিং করেছেন।

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যখন শুটিং করেছি তখন ছিল প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। মাস খানেক সুন্দরবনে শুটিং হয়েছে, যার মধ্যে আমি ছিলাম ২০ দিনের বেশি। রাতে যখন লঞ্চে ঘুমাতাম, খুব ঠাণ্ডা লাগত। আমি শীতের জামা-কাপড় পরেই ঘুমাতাম। তবে ঠাণ্ডার চেয়েও ভয়ের বিষয় ছিল কুমির। আমাদের লঞ্চ যেখানে নোঙর করা ছিল, সেখানে ছিল কুমিরটা। সকালে জানালা দিয়ে মুখ বের করলেই কুমির এবং আরও বিভিন্ন পশু-পাখি দেখা যেত। আমরা লঞ্চ থেকে শুটিং স্পটে যেতাম ছোট ছোট ট্রলারে। রাতেও শুটিং করতে হতো, খুব কঠিন পরিস্থিতি ছিল।’

১৯৭৯ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পরগণা জেলার দ্বীপ মরিচঝাঁপিতে ঘটে যাওয়া গণহত্যার ছায়া অবলম্বনে ‘ফেউ’ নির্মিত হলেও সিরিজটি ফিকশনাল। এর গল্প লিখেছেন সুকর্ন সাহেদ ধীমান ও রোমেল রহমান এবং চিত্রনাট্য করেছেন সুকর্ন সাহেদ ধীমান ও সিদ্দিক আহমেদ।