গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে দাম কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। ফলে গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের তিন কার্যদিবসে শেয়ারবাজার পতনের মধ্যে থাকায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্সসহ বাকি দুই সূচকের পতন হয়েছে। সূচকের এই পতনের মধ্যে বাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া ৬৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এ দাম কমার ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই কমেছে প্রায় এক শতাংশ। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১১ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত কমেছে দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৮ শতাংশ।
খাতভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বরাবরের মতো সব থেকে কম পিই রেশিও রয়েছে ব্যাংক খাতের। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেবা ও আবাসন খাতের পিই ৯ দশমিক ১১ পয়েন্ট অবস্থান করছে। এর পরের অবস্থানেই রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এ খাতের পিই ৯ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে রয়েছে।
এছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের পিই ১১ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট, বীমা খাতের ১৩ দশমিক ৭২ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতের ১৫ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট, খাদ্য খাতের ১২ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৫ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট, চামড়া খাতের ১৭ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতের ১৫ দশমিক ২৭ পয়েন্ট, তথ্য প্রযুক্তির ১৯ দশমিক ১০ পয়েন্ট এবং পেপার খাতের ১৯ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বাকি খাতগুলোর পিই রেশিও ২০ পয়েন্টের ওপরে। এর মধ্যে বিবিধ খাতের ২১ দশমকি ৪৫ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২৮ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট, সিরামিক খাতের ২৫ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতের ২৪ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট, আর্থিক খাতের ১৪৭ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট এবং পাট খাতের ৩৯৭ দশমিক ৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।