ডেঙ্গুতে আমার মায়ের মতো আর কারও মাকে যেন হারাতে না হয়ঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
আফরিন আক্তারঃ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ১৯৮০ সালে ডেঙ্গুতে আমি আমার মাকে হারিয়েছি। মাত্র তিন দিনের জ্বরে আমার মা মারা যান। তখন আমরা ডেঙ্গু বিষয়েও এতটা জানতাম না। পরবর্তীতে আমি বুঝলাম আমার মা ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। এই ভাইরাসে আমার মায়ের মতো আর কারও মা যাতে না হারায় যে জন্য আমি অবশ্যই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো।মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ২০২৪ সালের ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, যে কোনো রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ শ্রেয়। এই ব্যাপারে সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে সকলের অংশগ্রহণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে তবেই আমরা সফলভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারবো।
মশা নির্মূলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি কর্পোরেশন এবং নাগরিক, পরিবার সবাইকেই এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। পাশাপাশি ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়লে যাতে স্যালাইন সংকট দেখা না দেয় এবং মূল্যবৃদ্ধি না ঘটে সে জন্যে যথাযথ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকেও এজন্য প্রস্তুত থাকার থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডেঙ্গু সনাক্তকরণে দেশীয় কিট উদ্ভাবনকে সাধুবাদ জানিয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ডিজি ড্রাগ থেকে এই কিট অনুমোদন পেলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সহজলভ্যভাবে ও স্বল্প খরচে ব্যাপকভাবে বাজারজাতকরণের উদ্যোগ নেবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা অনেক আলোচনা করেছি। আমি নির্দেশনা দিয়েছি যাতে ডেঙ্গুকালীন কোনোভাবেই স্যালাইন সংকট দেখা না দেয়। একইসঙ্গে স্যালাইনের দামও যেন না বাড়ে। এছাড়া হাসপাতালগুলোকে খালি রাখার ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে পরে সার্জারি বা ভর্তি না করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া যায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি না করে যাদের প্রয়োজন তাদের ভর্তি করা হয়। ফগিং বিষয়ে আমাদের কিছু ভুল ধারণা রয়েছে জানিয়ে এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
ব্র্যাক চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল এন্টোমলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, বিআরআইসিএম এর মহাপরিচালক ডা. মালা খানসহ প্রমুখ।