ঢাকায় প্রতিবাদের দিনে গাজায় হামলা জোরদারের ঘোষণা ইসরায়েলের

প্রকাশিত: ১:০০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

 

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ দেন লাখ লাখ মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শত শত ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে বিক্ষোভকারীরা ‘ফ্রি ফ্রি, ফিলিস্তিন’ স্লোগান দেন। তবে ঢাকায় এমন প্রতিবাদের দিনেই গাজার বেশিরভাগ অঞ্চলে হামলা জোরদারের ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। খবর বিবিসির।

কাটজ বলেন, গাজার বেশিরভাগ এলাকাজুড়ে সেনাবাহিনী শিগগিরই হামলা ‘জোরেশোরে’ আরও বাড়াবে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজার দক্ষিণ অংশে রাফা এবং খান ইউনিস শহরকে বিচ্ছিন্নকারী একটি নিরাপত্তা অঞ্চল দখল করেছে।

এ ছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিস এবং তার আশেপাশের এলাকাগুলো থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বলা হয়েছে, গাজা থেকে হামাসের প্রজেক্টাইল ছোড়ার জবাবে এসব অঞ্চলে হামলা চালানো হবে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারিতে হওয়া দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল আবার গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে। সেইসময় থেকে ইসরায়েলি বাহিনী বাহিনী গাজার বিশাল অঞ্চল দখল করেছে। এতে নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে শত-সহস্র ফিলিস্তিনি।

এ ছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজার সীমান্ত বরাবর চলে যাওয়া বিস্তীর্ণ অঞ্চলও দখল করেছে। এদিকে রোববার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটির আল-আহলি আরব হাসপাতালে বোমা হামলা চালিয়েছে।

আল জাজিরার সাংবাদিকরা জানিয়েছে, হামলায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ধ্বংস হয়েছে। রোগীদের অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।হাসপাতালে হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

গাজায় গত ১৭ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে নিহত হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। সেইসঙ্গে আহত হয়েছে লাখো জন। এ ছাড়া লাখ লাখ ফিলিস্তিনি ঘরছাড়া হয়েছে।