নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীতে নভেম্বরের এই সময়টাতে বিগত বছরগুলোতে হাড় কাঁপানো শীত লক্ষ্য করা গেলেও এবছর সেরকম কিছু লক্ষ্য করা যায়নি। নভেম্বরের শুরুতে দেশের আবহাওয়া যতটা শীতল হওয়ার কথা ছিল, এখনো ততটা হয়নি। এর একটি বড় কারণ হলো ঘূর্ণিঝড় দানা।
কার্তিক মাস প্রায় শেষ, দরজায় কড়া নাড়ছে অগ্রহায়ণ। দেশ থেকে গত মাসের মাঝামাঝিতে বিদায় নিয়েছে মৌসুমি বায়ু। ইতোমধ্যে দেশের উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে।
শ্রীমঙ্গলে শনিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক নয় ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সীতাকুণ্ডে এদিন সন্ধ্যায় ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা—৩৩ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঢাকায় শীত আসবে একটু দেরিতে। এবার শীত মৌসুমে উত্তর-পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দুই থেকে তিনটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এই সময় তাপমাত্রা চার থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে আসবে। এছাড়া, আট থেকে ১০টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।
তারা বলছেন, আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে থাকলেও এর বিস্তৃতি উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত রয়েছে। যার প্রভাব স্থলভাগে পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ডিসেম্বরের শেষ ভাগে গিয়ে ঢাকায় শীত জেঁকে বসতে পারে। নভেম্বরে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে। তবে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।