ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি

প্রকাশিত: ১২:২২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে দিন দিন বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েই চলছ। দীর্ঘদিন ধরে মেগাসিটি ঢাকাও বায়ুদূষণের কবলে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা নাগাদ আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, ১৮৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা ও পাকিস্তানের লাহোর। অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।

একই সময়, ২২২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার প্রথম অবস্থানে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লী। এছাড়াও ১৭৮ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। পাশাপাশি তালিকায় ১৭৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমুন্ডু। অর্থাৎ এই শহরের বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে এবং দিল্লির বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।

আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের গুণমান নির্ধারণের একিউআই স্কেল অনুযায়ী ০-৫০ ভালো, ৫১-১০০ মাঝারি, ১০১-১৫০ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে মেগাসিটি ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার বায়ুদূষণ নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বাইরে বের হলে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের বাড়ির বাইরে কম বের হতে বলা হয়েছে। শহরে সবুজায়ন ও গাছপালা বৃদ্ধির মাধ্যমে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।