নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রায় এক যুগ আগে রাজধানীর পুরান ঢাকায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে ২০০ ভরি স্বর্ণ চুরির মামলায় তিনজনকে আট বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (৫ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-গরীব উল্লা ওরফে আসলাম, মুনির ওরফে মনিরুল, মোহাম্মদ মনির। তিন জনকে চার বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি চার হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরো চার মাসের কারাভোগ করতে হবে। খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-নারায়ণগঞ্জের শাহ আলম, সুরুজ আহমেদ ও সেলিম।
আদালত সংশ্লিষ্টরা জানান, রায় ঘোষণার সময় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পৃথক দুই ধারায় চার বছর করে আট বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। অর্থাৎ আসামিদের চার বছরের কারাভোগ করতে হবে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রাতে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। এসময় আসাসিরা প্রায় ২০০ ভরি স্বর্ণ, নগদ প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা এবং পাঁচ-ছয় ভরি রুপা নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিনই রাজধানীর চকবাজার থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন তৎকালীন মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বীরেশ চন্দ্র সাহা। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৩ সালে মুন্সিগঞ্জের গরীবউল্লা ওরফে আসলাম, নারায়ণগঞ্জের শাহ আলম, সুরুজ আহমেদ, সেলিম, মুনির ওরফে মনিরুল, মোহাম্মদ মনিরসহ ৬ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। মামলায় ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ৯ জন সাক্ষ্য দেন।