তলব পেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতের রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত: ৪:২০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্টঃ

ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ত্রিপুরাতে বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে উগ্র হিন্দুরা গেট ভেঙে ঢুকে পড়ে এবং পুলিশের উপস্থিতিতে ভাঙচুর চালায়। অফিশিয়ালি এর প্রতিবাদ জানানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

তলব পেয়ে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসেন। ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত বৈঠক করছেন।এর আগে ত্রিপুরার ঘটনায় সোমবার (২ ডিসেম্বর) একটি প্রতিবাদপত্র প্রকাশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়, এই ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার বিশ্বাস করে, ত্রিপুরায় বিক্ষোভকারীদের বাংলাদেশি মিশনে আক্রমণ করার সম্মতি দেওয়া হয়েছিল।

এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাপ্ত বিবরণগুলো প্রমাণ করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে বিক্ষোভকারীদের প্রাঙ্গণে আক্রমণ করার সম্মতি দেওয়া হয়েছিল। এই প্রক্রিয়ায়, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে তারা জাতীয় পতাকার খুঁটি ভাঙচুর করে, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং সহকারী হাইকমিশনের অভ্যন্তরে সম্পত্তিরও ক্ষতি করে। দুঃখজনকভাবে, প্রাঙ্গণ রক্ষার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পুলিশ সদস্যদের শুরু থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় না থাকতে দেখা গেছে। সহকারী হাইকমিশনের সদস্যরা গভীর নিরাপত্তাহীনতার ভুগছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার আরও জোর দিয়ে বলতে চায়, বাংলাদেশের একটি কূটনৈতিক মিশনের ওপর এই নৃশংস হামলা এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা ২০২৪ সালের ২৮ নভেম্বর কলকাতায় একই ধরনের সহিংস বিক্ষোভের একটি প্যাটার্ন তৈরি হয়েছে। আগরতলার এই বিশেষ আইনটি কূটনৈতিক মিশনগুলোর অলঙ্ঘনীয়তার লঙ্ঘন, যেমন কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশন, ১৯৬১ দাবি করে।

এতে আরও বলা হয়, যেহেতু যেকোনও ধরনের অনুপ্রবেশ বা ক্ষতি থেকে কূটনৈতিক মিশনগুলোকে রক্ষা করা স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব, তাই বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে এই ঘটনা মোকাবিলায় অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোর বিরুদ্ধে আরও যেকোনও সহিংসতা রোধ করা এবং কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সুরক্ষারও দাবি জানানো হয়েছে।