আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টায় দেশটির জলসীমায় চীনের ১৬টি রণতরীকে ঢুকে পড়তে দেখা গেছে। তাইওয়ানের সরকার এটিকে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির তাইপেবিরোধী মনোভাবের সর্বশেষ উদাহরণ হিসেবে দেখছে। খবর: সিএনএন’র
গত শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় চীনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভি’র (পিএলএএন) ২৪ ঘণ্টার কার্যক্রম শেষ হয়। এর আগে গত সপ্তাহে চীনের যুদ্ধবিমানের মহড়া দেখতে পায় তাইওয়ান। ৭২ ঘণ্টার ওই মহড়ায় চীনের অন্তত ৭৩টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা পার হয়ে এসেছিল বলে জানায় তাইওয়ান। ওই তিন দিনে ৯টি রণতরীও দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানের জলসীমায় প্রবেশ করেছিল।
কিন্তু শুক্রবার থেকে শনিবারের ২৪ ঘণ্টায় ১৬টি রণতরী তাইওয়ানের জলসীমায় প্রবেশ করেছে। গত বছরের আগস্টের পর থেকে নিয়মিত চীনা সামরিক বাহিনীর চলাচলে নজরদারি করে আসছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। নজরদারি চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত কখনোই এক দিনে এত সংখ্যক চীনা রণতরী জলসীমা অতিক্রম করেনি।
ইউএস প্যাসিফিক কমান্ডের জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্ট সেন্টারের সাবেক ডিরেক্টর অব অপারেশন কার্ল সুস্টার সিএনএনকে বলেন, ‘সামরিক প্রচেষ্টা বাড়ছে, বেইজিং দ্বিগুণ শক্তি নিয়োগ করেছে বলে মনে হচ্ছে।’
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি তাইওয়ানকে নিজেদের ভূমি দাবি করে। তাইওয়ানকে একঘরে করে রাখতে কূটনৈতিকভাবেও চেষ্টা চালায় চীনের ক্ষমতাসীন দলটি।