তামিমের বদলে ওপেনিংয়ে জুনিয়র তামিমকেই দেখতে চান সুজন
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
ক্রীড়া ডেস্ক:
ইংল্যান্ড থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশের ফেরার দুই দিন পরই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দলের অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল জানান, তিনি আসন্ন এশিয়া কাপে খেলবেন না। এরপর থেকে চারদিকে আলোচনা চলতে থাকে—এই টুর্নামেন্টে লিটন দাসের সঙ্গে ওপেনিংয়ে খেলবেন কে এই নিয়ে। পরে নির্বাচকরা এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করার পর দেখা গেল বিকল্প ওপেনার হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে তরুণ ক্রিকেটার তানজিম হাসান তামিম ও মোহাম্মদ নাঈম শেখকে। এদের দুই জনের মধ্যে তামিমের এখনো আন্তর্জাতিক অভিষেকই হয়নি তিনি সুযোগ পেয়েছেন এশিয়া কাপে ভালো খেলার সুবাধে। তবে তার ওপরই ভরসা রাখছেন জাতীয় দলের সাবেক টিম ডিরেক্টর ও বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। এসময় তিনি কথা বলেন এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়েও।
গতকাল মঙ্গলবার মিরপুরে গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘আমি মনে করি, তামিম হয়তো প্রথম পছন্দ হতে পারে লিটন দাসের সঙ্গে। আমি জানি না, হয়তো নাঈমও থাকতে পারেন। আমি মনে করি না বাংলাদেশ দুইটা ম্যাচেই থেমে যাবে এশিয়া কাপে। সেকেন্ড রাউন্ডে খেললে তো সুযোগ থাকবে। আর তামিমকে আমি দেখি আসলে এরকম যারা খেলে, খেলোয়াড়- আমরা তাদের থেকে কী আশা করি? দারুণ একটা সূচনা। ও ওরকমই প্লেয়ার।’
এসময় অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের প্রতিচ্ছবি এই তরুণ তামিমের মধ্যে দেখতে পান সুজন। বলেন, ‘আমি সিনিয়র তামিমের ছোটবেলা যদি মনে করি, ও যেরকম ব্যাটিং করত জুনিয়র তামিম এরকমই ব্যাটিং করে। তানজিদ তামিমের এটাই স্টাইল। ও যদি এটা ধরে রাখে, আমি চাই ও রাখুক। ও যেন খুব একটা না বদলায়। আমরা যেন চাপ তৈরি না করি বাইরে থেকে। ক্রিকেট এমন একটা খেলা সফল হবেন বা ব্যর্থ হবেন। আমি মনে করি, এই ছেলের লম্বা পথ পাড়ি দেওয়া, বড় ক্রিকেটার হওয়ার সামর্থ্য আছে। এশিয়া কাপে যদি ও ব্যর্থ হয়, আমি একটুও চিন্তা করব না। কারণ এ দল, হাই পারফরম্যান্সের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিস্তর একটা ফারাক আছে। এটা আমাদের মানতেই হবে। তারপরও আমি মনে করি, তানজিদ ঐ কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেবে। সেখানে যদি ও নিজের খেলাটা খেলে, বাংলাদেশকে দারুণ একটা সূচনা এনে দেবে।’
সবশেষ শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হওয়া ইমার্জিং এশিয়া কাপে দারুণ পারফরম করেছেন বাঁহাতি এই তরুণ ওপেনার। চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই আসে ফিফটি। সর্বোচ্চ ৬৮। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি (১৭৯)। তবে আলাদাভাবে নজর কাড়ে তার ব্যাটিংয়ের ধরন। প্রায় সব ম্যাচেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলকে এনে দেন উড়ন্ত সূচনা। ব্যাটিং করেছেন ১১৬.৯৯ স্ট্রাইক রেটে।
এদিকে গেল মার্চ মাসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অফ ফর্মের কারণে দল থেকে ছিটকে যায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর আর তাকে দলে ফেরানো হয়নি। আশা করা হচ্ছিল, আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো বড় দুই আসরে হয়তো দলের অভিজ্ঞ এই খেলোয়াড়কে দলে ফেরানো হবে কিন্তু গেল শনিবার এশিয়া কাপের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডেও দেখা যায় মাহমুদউল্লাহকে দলে রাখা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বকাপ স্কোয়াডে হয়তো থাকবেন না তিনি। তবে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের এখানেই শেষ দেখছেন না সুজন। তিনি বলেন, ‘আমি এটা এখনই বলব না যে, ওর শেষটা দেখছি। এখনো রিয়াদ একজন গুড ফাইটার। আমি মনে করি, দলের কম্বিনেশন বা যে কারণেই বাদ পড়ুক না কেন তাতে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। এটা সত্যি কথা, রিয়াদের বয়সও হচ্ছে। আমি এখনো বিশ্বাস করি, রিয়াদ যেভাবে লড়াই করে চেষ্টা করে, তাতে শেষ হয়ে গেছে বলাটা ঠিক হবে না। সুযোগ আবার আসতেও পারে।’
এসময় বিসিবি পরিচালক আরও বলেন, ‘রিয়াদ এখনো বিসিবির চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার। সুতরাং আমার মনে হয় রিয়াদ এখনো সেই স্পোর্টসম্যান স্পিরিটটাই রাখবে। নিজের সাথে লড়াই করবে এবং নিজের সঙ্গে লড়াই করাটাই সবচেয়ে বড় লড়াই হবে। আমার মনে হয়, ইটস টু আর্লি টু সে রিয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অয়ান্স ইউ আর এ ক্রিকেটার, ইউ আর এ ক্রিকেটার। রিয়াদ যতক্ষণ না পর্যন্ত বলছে ও শেষ করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত পাইপলাইনে সে অবশ্যই থাকবে। রিয়াদ বাংলাদেশে খেলার মতো যোগ্যতা অবশ্যই রাখে।’