তামিমের বাবা-মা চেয়েছিলেন ‘ছেলে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হবে’
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
স্পোর্টস ডেস্ক রিপোর্ট:
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে তামিম ইকবাল স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ায় কপাল খুলে যায় তানজিদ হাসান তামিমের। তরুণ এই ক্রিকেটার ভারত বিশ্বকাপে টাইগারদের হয়ে ওপেনিং পজিশনে খেলেছিলেন। এরপর সামর্থ্য দেখিয়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলেও জায়গা করে নিয়েছেন তামিম। অথচ এক সময় অন্য আট–দশজন অভিভাবকের মতো তার বাবা-মাও চেয়েছিলেন ‘ছেলে (তামিম) যেন ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হন।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার প্রকাশ করছে বিসিবি। তাদের ফেসবুকে আজ (বুধবার) প্রকাশিত হয়েছে তামিমের সাক্ষাৎকার। যেখানে শুরুতেই তিনি বলেন, ‘সব বাবা-মা চায় তার ছেলে পড়াশুনা করে বড় কিছু হবে। ডাক্তার হবে বা ইঞ্জিনিয়ার হবে, আমার বাবা-মাও ছোটবেলায় সেই স্বপ্নটা দেখেছিল। সে লক্ষ্যে গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে আসছিল পড়াশোনা করার জন্য এবং জেলা স্কুলে এডমিশন নিয়ে পড়াশোনা করি।’
শর্ত পূরণ করলেই তামিমকে খেলতে দিতেন তার মা, ‘খেলার প্রতি অনেক আগ্রহ ছিল, যখনই ছুটি পেতাম সেই সময়ে খেলাধুলা করতাম। বাসায় অনেক প্রাইভেট টিচার আসতো এবং স্কুলের পড়া থাকতো, তারপর রাতেও টিচার আসতো। তো সময় পাওয়াটা খুব ডিফিকাল্ট হয়ে যায়। আম্মু আমাকে বলতো স্কুল থেকে আসার পর স্যারদের পড়াটা কমপ্লিট করতে পারলে বিকেলে খেলার সুযোগ দেবে। আম্মু একটা কথা–ই বলতো পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারলে একাডেমিতে (ক্রিকেট) ভর্তি করিয়ে দিবে। তো এসব শর্ত পূরণ করলে আম্মু খেলতে দিত।’
তবে তামিমের ছোটবেলায় খেলাটা পছন্দ করতেন না তার বাবা। তবে এখন ঠিকই সাহস দেন জাতীয় দলের তরুণ এই ওপেনারকে, ‘আব্বু যখন অফিস থেকে বাসায় ফিরত দেখত যে আমি বাসায় ছিলাম না, টিচার এসে বাসায় বসে থাকতো। আমি মাঠে খেলতে গেছি, এজন্য বাবা অনেক রাগ হইতো। বাবার এই কঠোরতা নিয়ে কিছু বলতে চাই না আমি। এখন আমার বাবা-মা দুজনই আমার ওপর অনেক সাপোর্টিভ। সবসময় সাপোর্ট করেন ভালো সময়, খারাপ সময়ে পাশে থাকেন, আলহামদুলিল্লাহ।’
বিশ্বকাপে ব্যক্তিগতভাবে সর্বোচ্চ অবদান রাখার আশা তানজিদ তামিমের, ‘আমি অনেক লাকি ছিলাম যে বিশ্বকাপ (অনূর্ধ্ব-১৯) খেলেছি। ব্যক্তিগতভাবেও কিছু করতে না পারলেও, চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হওয়ায় বন্ধু–বান্ধবসহ সবাই আমাকে প্রাউড ফিল করত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চেষ্টা করব নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে দলকে সেরা কিছু দেওয়ার। আমি কখনও বোলার দেখে খেলি না, বলের মেরিট দেখে খেলার চেষ্টা করি। একইভাবে এবারও খেলার চেষ্টা থাকবে। তবে আমি সেভাবে কোনো লক্ষ্য নিয়ে আগাই না, চেষ্টা থাকে ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো করার।’
উল্লেখ্য, সর্বশেষ বিপিএল আসরে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় তানজিদ তামিমের। যেখানে তিনি সিরিজের সর্বোচ্চ ১৬০ রান করেছেন। ব্যাট করেছেন ৫ ম্যাচে ৪০ গড় এবং ১২৩ স্ট্রাইকরেটে। এর আগে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের অভিষেক হয় ২০২৩ সালের আগস্টে। এখন পর্যন্ত ফরম্যাটটিতে তিনি ১৫ ম্যাচে ২৮৩ রান করেছেন।