‘তিনটা জীবনের জন্য পুলিশসহ তারা দায়ী থাকবে’

প্রকাশিত: ১২:২৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২৫

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়া ও থানায় প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করার পরেও পুলিশ কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় দুই সন্তা‌নসহ আত্মহত‌্যার হুম‌কি দি‌য়ে ফেসবু‌কে স্ট‌্যাটাস দি‌য়ে‌ছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের এক নারী।

শুক্রবার রাতে ওই নারী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এই পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয়।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে ওই নারী লেখেন- দাম্পত্য কলহের জেরে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হই। পরে এ বিষয় নিয়ে একটি শালিসি বৈঠক বসে। নির্যাতনের ঘটনা আড়াল করতে আমার স্বামী এক ব্যক্তিকে জড়িয়ে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ করে, তবে সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। আয়নাল ভাই বলেন, এই বিষয়ে প্রমাণ ছাড়া মিথ্যা অভিযোগ করা ঠিক হয়নি। সালিশ শেষ হওয়ার সময় একদল লোক (লিমন, হিমন, আলিফ, দেশ, মিজান) উপস্থিত হয়ে আমাকে হুমকি ও জোর করে এই লোকের নাম ও সম্পর্কের কথা স্বীকার করতে বলে। আমি অস্বীকার করলে এই দিনের জন্য সালিশ বৈঠক সমাপ্তি দিয়ে পুনরায় ডেট দেওয়া হয়। এইদিন বিকেলে আমার স্বামীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয় এবং থানায় একটি অভিযোগ দেয়। পরবর্তী দিন আমি একটি অভিযোগ দিয়ে আসি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য আমাকে ব্যবহার করছে একদল লোক। এই বিষয়ে পুলিশ আমাকে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেয়নি। আমি মানসিকভাবে এবং লোক লজ্জার জন্য দুই সন্তানসহ মৃত্যু পথ বেছে নিয়েছি। এই জন্য দায়ী যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। আমি একটি সুইসাইড নোট লিখে রেখে গেলাম। ৩টা জীবনের জন্য পুলিশসহ তারা দায়ী থাকবে।

নিরাপত্তা ও পুলিশ দায়ীর বিষয়ে জানতে চাইলে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না তো, আমার পুলিশকে দোষারোপ করা হচ্ছে। তার কী নিরাপত্তা দেব আমি। এ ব্যাপারে আমার কোনো মন্তব্য নেই, সে আমার কাছে আসে নাই। নিরাপত্তার জন্য কেউ আসেনি, তাহলে কিভাবে নিরাপত্তা দেব। তার বাসায় গিয়ে তো নিরাপত্তা দিতে পারব না। ওই নারীর সঙ্গে এক ছাত্রদল নেতার অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এনে কয়েকদিন আগে থানায় অভিযোগ দিয়েছিলেন তার স্বামী। এ ই ঘটনায় সালিশ বৈঠক হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় একটি চক্র। একপর্যায়ে ওই নারী মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিকার ও বিচার চেয়ে স্বামীসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন।