তীব্র শীতে বিপর্যস্ত পঞ্চগড়, দেখা মিলছে না সূর্যের

প্রকাশিত: ১২:৫৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২, ২০২৫

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

কুয়াশার আবরণে ঢাকা পড়েছে উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়। শৈত্যপ্রবাহ না হলেও উত্তরের ঝিরঝির হিম বাতাস বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের প্রকোপ। তিন দিন ধরে ভোর থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না এ জেলায়। ফলে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার জনপদ।বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের তাপমাত্রায় রেকর্ড হয়েছিল ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা কমে আসা ও বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ হওয়ায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে বলে জানিয়েছে জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়।

সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত দিনের মতো কুয়াশার চাদরে ঢাকা রয়েছে উত্তরের এ জেলা। হিমেল শীতল হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে শৈত্যপ্রবাহ না হলেও বাতাসে ঝরাচ্ছে কনকনে তীব্র শীত। পৌষের মাঝামাঝিতে এমন শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষ।

 

এদিকে গতকাল দিনভর কুয়াশার আবরণে ঢাকা থাকায় দেখা যায়নি সূর্যের মুখ। উত্তরের হিমেল বাতাসে কনকনে শীতে কেঁপেছে জনপদের মানুষ। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নিম্নবিত্ত, হতদরিদ্র ও অসহায় শ্রেণির মানুষ। শীতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শহরের ফুটপাতসহ হাটবাজারে বসা ফুটপাতের দোকানগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষদের ভিড় দেখা গেছে। তবে ফুটপাতের দোকানগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের কাপড়। অনেকে টাকার অভাবে কিনতে পারছেন না পরিবারের জন্য শীতের কাপড়। বাড়িতে ও শহরে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে।

শীতের কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্তে পরিমাণ। প্রতিদিনই জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে।

জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ  বলেন, আকাশে মেঘ ও মৌসুমী বায়ু নিষ্ক্রিয়তা থাকার কারণে তাপমাত্রা একটু বেশি। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা কমে আসা ও বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ ভাগ হওয়ায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে বলে জানান তিনি।