আমিনুল ইসলাম বাবু:

রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া নাশকতার আগুন পুড়ে নিহত খোকন মিয়া (৩৪) ও রশীদ ঢালীর (৬০) মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ময়নাতদন্ত শেষে বিকেল তিনটার দিকে খোকন মিয়ার মরদেহ তার স্ত্রী সাজন জানের কাছে এবং সাড়ে তিনটার দিকে রশিদ ঢালীর মরদেহ তার ছেলে মামুনের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

নিহত খোকনের স্ত্রী সাজন জান বলেন, ভাতিজির বিয়ের জন্য আমার শাশুড়ি ও আমার ছোট মেয়েকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সে গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে যায়। পরে গতকাল রাতে ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করে। এরপর সোমবার রাত ৯টার পর তার সঙ্গে আর আমার কোনো কথা হয়নি। পরে জানতে পারলাম ট্রেনে আগুন লেগে চারজন মারা গেছেন। কিন্তু আমি আমার স্বামীর মোবাইলে অনেকবার ফোন দিয়েছি, কিন্তু কল যায়নি।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেডিকেলের মর্গে এসে দুটি মরদেহ দেখি। এর মধ্যে একটি মরদেহ পাঞ্জাবি পরা, দাঁতে দাগের চিহ্ন ও মুখমণ্ডল দেখে আমার স্বামীকে চিনতে পেরেছি। এখন মরদেহ নিয়ে সুনামগঞ্জে যাবো। সেখানে নামাজের জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।

নিহত রশিদ ঢালীর ভাতিজা মো. বেলাল আহমেদ বলেন, আমি খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে এসে চাচার মরদেহ শনাক্ত করি। কোমরে তাবিজ, হাতে আংটি, গায়ের পোশাক দেখে চাচাকে চিনতে পারি। পরে তার ছেলে মামুন এসেও চাচার মরদেহ শনাক্ত করে। ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ আমাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে। এখান থেকে নেত্রকোনার সদরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে নামাজের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

কমলাপুর রেলওয়ে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সেতাফুর রহমান রহমান বলেন, দুই পরিবারের স্বজনরা লাশ শনাক্ত করার পরে আমরা লাশ দুটির ময়নাতদন্ত শেষে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছি।