থমথমে বিএসএমএমইউ, স্বাচিপ নেতাকর্মী-পুলিশের সতর্ক অবস্থান

প্রকাশিত: ১:০৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের বিদায়ের বাকি মাত্র একদিন। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে দায়িত্ব নেবেন নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক। বিদায়ের একদিন আগে সকাল থেকে নিজ চেয়ারে দেখা যায়নি শারফুদ্দিন আহমেদকে।

এদিকে উপাচার্যের যেকোনো ‘অপতৎপরতা রুখতে’ টিএসসি এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন বিএসএমএমইউর স্বাচিপ নেতাকর্মীরা। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপস্থিত আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। সবমিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করে এই চিত্র দেখা গেছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি ক্যাম্পাস ছাড়েন। বেলা ১২টা পর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ঘুরে দেখা গেছে, সবসময় চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীতে সরগরম থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুনশান নিরবতা বিরাজ করছে। অধিকাংশ রুমেই চেয়ারগুলোতে পাওয়া যায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপাচার্যের শেষ কর্মদিবস হওয়ায় সবার মধ্যেই একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে সকাল থেকেই অবস্থান নিয়েছেন বিএসএমএমইউ শাখা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ দিনে উপাচার্যের যেকোনো অপতৎপরতা রুখতেই তাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান। তবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়, এমন কিছুই তারা করবেন না বলে জানিয়েছেন।

বিএসএমএমইউ স্বাচিপের সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো বলেন, উপাচার্য যদি শেষ সময়ে রুটিন কাজগুলোই করেন, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যদি সিন্ডিকেট মিটিং বা নিয়োগের অপতৎপরতা চালান, তাহলে আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, দুঃখজনক ব্যাপার হলো তিনি শেষ বিদায়টা ভালোভাবে নিতে পারছেন না। তিনি একরকম পুলিশি প্রটেকশনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ছেন, যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আর কখনই ঘটেনি। আমরা এমন বিশ্ববিদ্যালয় কখনই কামনা করি না।এসব প্রসঙ্গে উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি শেষ সময়ে কোনোকিছু নিয়ে মন্তব্য করতে চান না বলে জানান।