থাইল্যান্ডে বিয়ের দিন কনেসহ ৪ জনকে হত্যার পর আত্মঘাতী বর

প্রকাশিত: ৬:১৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০২৩

ডেস্ক রিপোর্ট:

থাইল্যান্ডে এক বর তার নিজের বিয়ের পার্টিতে পিস্তল দিয়ে কনেসহ চারজনকে গুলি করে হত্যা করার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ২৫ নভেম্বর শনিবার উত্তর-পূর্ব থাই প্রদেশের নাখোন রাতচাসিমার ওয়াং নাম খিয়েও জেলার একটি গ্রামে ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ব্যাংকক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলাকারী ২৯ বছর বয়সী চতুরং সুকসুক একজন সাবেক সৈনিক ও প্যারাঅলিম্পিক অ্যাথলেট। বিয়ের আগে তিন বছর ধরে কাঞ্চনা পাচুনথুয়েক (৪৪) এর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। শনিবার সকালে তাদের বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন সুকসুক উদযাপনের মধ্যে হঠাৎ বিয়ের পার্টি ছেড়ে গিয়ে বন্দুক নিয়ে আসেন।
উত্তর-পূর্ব নাখোন রাতচাসিমা প্রদেশের পুলিশ কর্মকর্তা মাতিচন ওংবাওকুল বলেন, ‘তাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে তর্ক বেধেছিল। পরে চাতুরং তার গাড়ির কাছে যায় ও একটি বন্দুক নিয়ে এসে গুলি করতে থাকে।’

গুলিতে কনে কাঞ্চনা, তার মা ও ৩৮ বছর বয়সী বোন নিহত হয়। তিনি দুই অতিথিকেও গুলি করেন পরে তাদের দ্রুত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে একজন মারা যায় ও আরেকজন গুরুতর আহত হয়। এরপর বর নিজেই গুলি করে ঘটনাস্থলে আত্মহত্যা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ৯ এমএম গোলাবারুদের ১১টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, বর সে সময় বেশ নেশাগ্রস্ত ছিলেন, তবে তার উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ এখন মামলাটি তদন্ত করে আলামত সংগ্রহ করছে।

স্ট্রেইটস টাইমস জানিয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছিলেন বরের সন্দেহপ্রবণ মানসিকতার কারণে এই তর্কের সূত্রপাত হয়েছিল। কারণ তার মনে হয়েছিল শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে হয়তো তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে অন্য পুরুষের কাছে চলে যেতে পারে।

সুকসুক একজন সাঁতারু ছিলেন। তিনি ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়ায় ২০২২ আসিয়ান প্যারা গেমসে দুটি রৌপ্য পদক জিতেছেন। স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, তিনি একজন থাই সেনা রেঞ্জার ছিলেন। সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় ডান পা হারান তিনি।

বন্দুক সহিংসতা থাইল্যান্ডে সাধারণ ঘটনা। দেশটিতে বন্দুক বৈধ ও অবৈধ উভয়ভাবেই সহজলভ্য। যদিও গণ গোলাগুলির ঘটনা দেশটিতে বিরল তবে গত মাসে একটি শপিংমলে বন্দুক হামলায় দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।