দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান দুর্ঘটনা: ব্ল্যাকবক্সের শেষ চার মিনিটের ফ্লাইট তথ্য উধাও

প্রকাশিত: ১২:১৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মাসে বিধ্বস্ত হওয়া যাত্রীবাহী বিমানের ফ্লাইট ডাটা এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার দুর্ঘটনার চার মিনিট আগে থেকে রেকর্ড করা বন্ধ হয়ে যায়। জেজু এয়ারের এই ফ্লাইটটি ১৭৯ জন যাত্রীর মৃত্যু ঘটায়, যা দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। কেবল দুই জন ক্রু সদস্য এই দুর্ঘটনায় বেঁচে যান।

তদন্তকারীরা আশা করছিলেন, ব্ল্যাক বক্সে থাকা তথ্য দুর্ঘটনার আগের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোর রহস্য উন্মোচনে সহায়ক হবে। তবে রেকর্ডিং বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে।

ব্ল্যাক বক্সগুলোকে প্রথমে দক্ষিণ কোরিয়ায় পরীক্ষা করা হয়, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ডাটা অনুপস্থিত থাকায় এগুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রকদের মাধ্যমে পুনরায় পরীক্ষা করা হয়।

গত ২৯ ডিসেম্বর ব্যাংকক থেকে উড্ডয়ন করা বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটি মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে র্ক্যাশ ল্যান্ড করার পর রানওয়ের শেষ প্রান্তের একটি দেওয়ালে আঘাত করে এবং আগুন ধরে যায়।

সাবেক দুর্ঘটনা তদন্তকারী সিম জায়-ডং বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রেকর্ডারের শেষ মুহূর্তের ডাটা অনুপস্থিত থাকা বিস্ময়কর এবং এটি ইঙ্গিত দেয় যে পুরো পাওয়ার সাপ্লাই, এমনকি ব্যাকআপ পাওয়ারও বন্ধ হয়ে থাকতে পারে। তদন্তকারীরা এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। তারা খতিয়ে দেখছেন পাখির আঘাত বা আবহাওয়াগত পরিস্থিতি দুর্ঘটনায় ভূমিকা রেখেছে কিনা।

এ ছাড়া, বিমানটি কেন রানওয়েতে অবতরণের সময় ল্যান্ডিং গিয়ার নামানো ছিল না, তাও তদন্তের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।