ডেস্ক রিপোর্টঃ
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস অঞ্চলে রয়েছে আল-আমাল হাসপাতালে ইসরায়েলের মিসাইল হামলায় অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এই হাসপাতাল চালায়। হামলার খবরটি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ডাব্লিউএইচও প্রধান জানিয়েছেন, মিসাইল হামলায় ওই হাসপাতালে অন্তত পাঁচজন বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একটি পাঁচ দিনের শিশুও আছে। গাজার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পালিয়ে এসে দক্ষিণ গাজায় আশ্রয় নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ওই হাসপাতাল চত্বরেই প্রায় ১৪ হাজার মানুষ শিবির বানিয়ে আছেন।
ডাব্লিউএইচও-র রিপোর্ট অনুযায়ী, মিসাইল হামলার পর ওই হাসপাতাল চত্বর থেকে পালানোর চেষ্টা করছেন শরণার্থীরা। অন্যদিকে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ওই হাসপাতাল চত্বরে একটি ট্রেনিং সেন্টার চালাতো, সেটিও এদিনের হামলায় সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে।
ডাব্লিউএইচও প্রধান জানিয়েছেন, তার কর্মীরা ওই হাসপাতাল চত্বরে মঙ্গলবারই গেছিলেন। তারা জানিয়েছেন, হাসপাতালটির বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। এক্স-এ তিনি লিখেছেন, হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের রক্ষা করার দায় আছে সকলের। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এই নিয়ম পালন করতে হয়। এটা ভুলে গেলে চলবে না।
হাসপাতালে আক্রমণ নিয়ে এখনো পর্যন্ত ইসরায়েলের তরফ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি একটি বিবৃতিতে বলেছেন, দেশের সেনা সবরকম ডিফেন্স এবং অফেন্সের জন্য নিজেকে তৈরি রেখেছে। হামাসকে খতম করার জন্য সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বস্তুত মঙ্গলবার বৈরুতেও আক্রমণ চালিয়েছে আইডিএফ। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ হামাস নেতা সালেহ আরৌরি নিহত হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। আইডিএফ অবশ্য এ নিয়ে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করেনি। এই ব্যক্তি হামাসের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেই পরিচিত।