দক্ষ প্রশাসক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর অবদান অসামান্য: স্পিকার

প্রকাশিত: ৬:৪২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, একজন দক্ষ প্রশাসক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর অবদান অসামান্য। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলার সাধারণ মানুষের মধ্য থেকে উঠে আসা অবিসংবাদিত ক্ষণজন্মা নেতা। সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ক্ষণ তিনি মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। আজ শনিবার (১৯ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, বাংলার আপামর জনসাধারণের প্রতি বঙ্গবন্ধুর গভীর আস্থা ও ভালোবাসা ছিল। পূর্ব বাংলার মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য রোধের জন্য বঙ্গবন্ধু সবসময় সোচ্চার ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গমাতা নেপথ্যে থেকে সবসময় সহায়তা করেছেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রের ভিত প্রস্তুত করেছেন। কৃষি উন্নয়ন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, অর্থনৈতিক সচ্ছলতা, শিশু আইন, পরিকল্পনা কমিশন, প্রথম পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনা, কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন, সমুদ্রসীমা নির্ধারণ আইন পাস ছিল তার দূরদর্শী প্রজ্ঞা।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন মর্মস্পর্শী, অমানবিক ও বেদনাদায়ক ঘটনার নজির নেই। তিনি এসময় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন ছড়িয়ে দেওয়ার এবং সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্সকে জাতির পিতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর ঘাতকেরা হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করতে ইনডেমনিটি আইন পাস করেছে এবং এর মাধ্যমে পবিত্র সংসদকে কলুষিত করেছে। হত্যাকারীরা চিহ্নিত শত্রু, তাদের সবার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আরেক বিশেষ অতিথি হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কুশীলবরাই মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী। দেশবিরোধী সক শক্তিকে নির্মূল করতে হবে।

সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আসিফ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম। এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মিঞা, জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি যুগ্মসচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার। অনুষ্ঠানে যুগ্মসচিব এস এম মঞ্জুর বঙ্গবন্ধু স্মরণে কবিতা আবৃত্তি করেন।

অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় সংসদ ভবনস্থ মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ ক্বারী মুফতি মোহাম্মদ আবু রায়হান। এসময় সংসদ সদস্য, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।