চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা জয়নগর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে প্রাথমিক তৎপরতা। তবে চেকপোস্টে এখনো থার্মাল স্ক্যানার স্থাপিত হয়নি। শুধুমাত্র ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও যাত্রীদের ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে তাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে চেকপোস্টে গিয়ে দেখা যায়, নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের একটি টিম কাজ করছে। যাত্রীদের পূর্বের রোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে তাদের ব্যাক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বর নথিভূক্ত করা হচ্ছে। দর্শনা ইমিগ্রেশন অফিস সূএে জানা যায়, নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর এ চেকপোষ্ট দিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি হতে ১২ মার্চ পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৯৫২ জন পাসপোর্টধারী ভারতীয় যাত্রী বাংলাদেশ থেকে ফেরত গেছেন। আর বাংলাদেশের ৪৩ হাজার ৩৪৫ জন যাত্রী ভারতে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যেই এ চেকপোষ্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আসবে।
ভারতফেরত যাত্রী কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার জাহিদুল ইসলাম ও তার পরিবারের দুই সদস্য, নাটোরের লালবাজারের মনোতোষ রায়ের কথা বললে তারা জানান, এ ব্যবস্থাটি ভাল। এতে করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রাথমিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হবে।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. তানভীর আসিফ মুজতবা বলেন, দর্শনা জয়নগর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে মেডিকেল টিম যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রাথমিক কাজগুলো চালিয়ে যাচ্ছে। যদি অস্বাভাবিক কোন রোগী পাওয়া যায় তখন তার ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন করা হবে। এখানে সতর্কতার সঙ্গে আমাদের মেডিকেল টিম তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।