দাবদাহের মধ্যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ, আপত্তি অভিভাবকদের

প্রকাশিত: ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ রবিবার থেকে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে নয় অভিভাবকরা। তারা বলছেন, তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষার্থী স্কুলে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি চালুর জন্য আরও কিছু দিন অপেক্ষার দাবি জানান।

আজ রবিবার স্কুল খোলার বিষয়ে আগেই নোটিশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ঐ নোটিশে বলা হয়, ২৮ এপ্রিল রবিবার থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সূর্যের সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

অন্যদিকে প্রাথমিক স্কুলও আজ খুলছে। তবে সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনার সময়সূচিতে আনা হয়েছে পরিবর্তন। নতুন সূচি অনুযায়ী-এক শিফটের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলবে সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। আর দুই শিফটের বিদ্যালয়ে প্রথম শিফট ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট পৌনে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। তাছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চললেও বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি। পাশাপাশি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় আপাতত বন্ধই থাকছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত নোটিশে বলা হয়, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

অভিভাবকের আপত্তি: তাপপ্রবাহ চলমান থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। তারা বলছেন, স্কুল খোলার জন্য আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করা যেত। অভিভাবকরা বলছেন, দেশের বেশির ভাগ স্কুলেই খাবার বিশুদ্ধ পানি নেই। আবার অনেক শিক্ষার্থী পানি নিয়ে স্কুলে যায় না। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে এসব শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে এর দায় কে নেবে।

আজিজুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক বলেছেন, স্কুল খোলা থাকলেও আমি আমার সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে রাজি নই। কারণ আমার সন্তান স্কুলে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে কে এর দায়িত্ব নেবে। তিনি তাপপ্রবাহ না কমা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানান।

আগামী শনিবারও স্কুল খোলা থাকবে: পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শেষে গত ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে দেশ জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলা হয়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব এবং এ সময়ে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত করব।’